মানুষের ফেলে দেওয়া বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী প্রক্রিয়াজাত করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ফরিদগঞ্জের শাহ আলম। তার এ উদ্যোগে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছেন বেশ কিছু বেকার নারী-পুরুষও।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন গৃদকালিন্দিয়া চরমান্দারি গ্রামে কারখানা গড়ে তুলেছেন শাহ আলম। কারখানার নাম দিয়েছেন মা-বাবার দোয়া রিসাইক্লিং। সেখান থেকে প্রতি মাসে তিনি আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা।
জানা যায়, ২০১০ সালে মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল কেনা শুরু করেন শাহ আলম। পরে সেগুলো ঢাকায় নিয়ে বিক্রি শুরু করেন। ধীরে ধীরে ব্যবসার উন্নতি হলে নিজেই রিসাইক্লিং মেশিন কিনে কাটিংয়ের (চিপ) কাজের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার এসব পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতলগুলো তিনি বাড়ির সামনে বস্তাবন্দি করে রেখেছেন। অন্যদিকে মেশিনে ভাঙা সম্ভব এমন প্লাস্টিকের বালতিসহ নানাসামগ্রী মেশিন ঘরের পাশে স্তূপ আকারে রয়েছে। এর পাশেই রিসাইক্লিং করা প্লাস্টিকসামগ্রীর চিপ রোদে শুকাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শাহ আলম জানান, প্রায় ১০ থেকে ১১ বছর ধরে তিনি এই কাজ করছেন। প্রথমে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের সামগ্রী কিনে তা ঢাকায় বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে চিপ করে তা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। পরিবেশের ক্ষতিকারক এসব সামগ্রী সংগ্রহ করে পরিবেশকে ভালো রাখার পাশাপাশি এগুলো দিয়ে নতুন সামগ্রী তৈরির উৎস তৈরি করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
প্লাস্টিকের বোতল প্রক্রিয়াজাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়ে শাহ আলম বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যবসার আরও প্রসার করা সম্ভব হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে গ্রামের মানুষের বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি গ্রামের পরিবেশও ভালো রাখা সম্ভব হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট