News Desk :
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পরীক্ষার মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেয়ার একটি প্রথা চালুর পরিকল্পনা করছে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তালিকাভুক্তি সনদ ছাড়া কেউই সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দিতে পারবে না। সাংবাদিকতা পেশায় যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের প্রবেশ নিশ্চিতকরণ এবং সাংবাদিকতা পেশার গুণগত মানের উন্নতির লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল যেমন করে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য ল গ্র্যাজুয়েটদেরকে পরীক্ষার মাধ্যমে তালিকাভুক্তকরণ সনদ দিয়ে থাকে ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের জন্যও পরীক্ষার মাধ্যমে তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেয়ার পদ্ধতি চালুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জানান, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমি বুঝতে পারি যে, পেশাগত কাজের জন্য সাংবাদিকদের সনদ দরকার। আর সাংবাদিকতা যেহেতু একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা সেহেতু তাদের আর্থিক সহায়তার জন্যও কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিল গঠন করা দরকার।
যারা এরইমধ্যে এই পেশায় কর্মরত রয়েছেন তাদের কী হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মরত সাংবাদিকদের নিজেদের মিডিয়া হাউজের সুপারিশক্রমে সনদ সরবরাহ করা হবে।
বিচারপতি মমতাজ আরো জানান, স্থানীয় সাংবাদিকদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বিপিসি এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রকৃত সাংবাদিকরা ভুয়া সাংবাদিকদের নিয়ে শঙ্কিত। আর এ কারণেই প্রকৃত সাংবাদিকদের মান রক্ষায় বিপিসি এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রেস কাউন্সিলের এ পরিকল্পনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট বা বিএফইউজে’র একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকদের ব্যাপারে যে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংকাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান রেডিও তেহরানকে বলেন, বার কাউন্সিলের মতো পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সনদ দেয়ার পরিকল্পনা সঠিক হবে না। তবে পেশার মান-মার্যাদা বাড়ানোর ব্যাপারে নীতিমালা হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য দেশে-বিদেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
রেডিও তেহরান
সূত্র- বিডিভিউ২৪