চাঁদপুরের কচুয়ার চানঁপাড়া গ্রামের তাজ উদ্দিন হাজী বাড়িতে স্বামীর অধিকারের দাবিতে স্ত্রীর অনশন চলছে। ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রীনা আক্তার নামে এক যুবতী চাঁনপাড়া গ্রামের যুবক নাজমুল হোসেনের সাথে নোটারী পাবলিক কার্যালয় চাঁদপুর এর মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে এমন দাবি করে ওই বাড়িতে দিনভর অনশন করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বুধুন্ডা গ্রামের মজু মিয়ার মেয়ে রীনা আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিগত কয়েক মাস যাবত চাঁনপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নাজমুল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৬ মার্চ নোটারী পাবলিক কার্যালয় চাঁদপুর এর মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকার মোহরানা ধার্যে তাদের বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এতে একই এলাকার সোহান,আনিছুর রহমান ও মেহেদী নামের তিন যুবক ওই বিয়ের স্বাক্ষী হিসেবে বিবাহের ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষর করেন।’
রীনা আক্তার আরো জানান, নাজমুল হোসেন বিবাহের পর থেকে বিষয়টি গোপন রাখাল চেষ্টা করে আমাকে আমার বাবার বাড়িতে থাকতে বলে। বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি সে (নাজমুল) আমাকে স্ত্রীর অধিকার না দিয়ে প্রবাসে চলে যাওয়ার পায়তারা করছে।
বৃহস্পতিবার আমি তাদের বাড়িতে আসলে তার বাবা আবুল হোসেন,মা হোসনেয়ারা বেগম আমাকে ও আমার খালা আফিয়া বেগমকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমি আমার স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা চাই। ’
রীনা আক্তারের ভগ্নিপতি মহসিন মিয়া জানান, পূর্বে আমার শ্যালিকার বিয়ে ঠিক হলে নাজমুল ভয়ভীতি দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। বতর্মানে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে অস্বীকার করছে।
নাজমুল হোসেনের বাবা আবুল হোসেন জানান, কিছু লোকজন ফুসলিয়ে মেয়েটিকে আমার বাড়িতে উঠিয়েছে। তারা উভয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে থাকলে কোর্টের মাধ্যমে তা ফয়সালা হবে।
মুঠোফোনে নাজমুল হোসেন বলেন, দুই তিন মাস ধরে রীনা আক্তারের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো । তবে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ইউপি সদস্য ইসমাইল মোল্লা জানান, চাঁনপাড়া গ্রামে স্বামীর অধিকার পাওয়ার দাবিতে এক যুবতীর অনশনের বিষয়টি শুনেছি। তবে উভয়ের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
চাঁদপুর জজ কোর্টের অ্যাড. আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের আইনজীবী সহকারী মো. সোহেল গাজী বলেন, আমাদের চেম্বারের সহযোগিতায় নোটারী পাবলিক কার্যালয় এর মাধ্যমে উভয়ের উপস্থিতিতে এ বিয়ে হয়েছে বলে তিনি জানান।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে লোকমুখে বিষয়টি শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খোঁজখবর নেয়ার কথা বলেছি।
কচুয়া প্রতিনিধি, ০৫ জুলাই ২০২৩