জামালপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এডিস নিক্ষেপ করে এক কলেজ ছাত্রের মুখ ঝলসে দিয়েছে প্রেমপ্রার্থী কলেজছাত্রী। এসিডদগ্ধ কলেজছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক কলেজ ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মাকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, জামালপুর টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের ইলেট্রনিক্স টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল একই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে মেলান্দহ ঝাউগড়া বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া। গত ১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারুফ রিয়াদের বাসার সামনে দিয়ে যাবার সময় ভাবনা আক্তার রিয়া মারুফকে তাদের বাসায় যেতে বলে। মারুফ এতে রাজি না হলে আকস্মিক রিয়া তার মুখে এসিড ছুড়ে মারে। এসিডে মারুফের পুরো মুখমন্ডল ছাড়াও কাঁধের কিছু অংশ ঝলসে যায়। পরে এসিডদগ্ধ মারুফকে স্থানীয় লোকজন রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে গুরুতর অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে এসিডগ্ধ মারুফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পর ওইদিন (১৫ মার্চ) রাতেই পুলিশ ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে আটক করে। আটক দুজনকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই ঘটনায় মারুফের পিতা দুদু মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে আসামী করে জামালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাবাদের জন্য তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য্য রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৪০ পি.এম ১৭মার্চ,২০১৮শনিবার
এ.এস