প্রেমের টানে ছাত্রদল নেতার বউ ছাত্রলীগ নেতার সাথে উধাও

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতির স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে শহর ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

গত দু’দিন ধরে ঘটনাটি কক্সবাজার শহরে ‘টক অব দ্যা টাউনে’ পরিণত হয়েছে। তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আরমান জানিয়েছেন, নিলুফা মনিকে অপহরণ করা হয়নি। ভালবাসার টানে সে আমার কাছে ছুটে এসেছে।

জানা যায়, অপহৃত নিলুফা মনি কক্সবাজার শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়ার আবদুল কাদেরের কন্যা ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সমপাদক মনির উদ্দিনের বোন। নিলুফার স্বামী কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাসেদুল হক রাসেল। দু’মাস আগে তাদের কাবিন ও আকদ সম্পন্ন হয়।

আগামী ১৩ই আগস্ট বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্টে অবস্থিত বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হওয়ার কথা। সেই হিসেবে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে চিঠিও বিলি করা হচ্ছিল কয়েক দিন ধরে। চিঠি বিলি করতে যাওয়ার পথে সোমবার সকালে পুরনো প্রেমিক শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার শহর ছাত্রলীগ নেতা আরমান তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

ছাত্রলীগ নেতা আরমান শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার আরমান ম্যানশনের বাসিন্দা। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া চৌধুরীর নাতি (মেয়ের ছেলে)। এদিকে ঘটনার পর থেকে উভয় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি। নিলুফা মনির পরিবারও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

কক্সবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মতিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে তিনি অবগত নন। এব্যাপারে কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ তার কাছে আসেনি। অজ্ঞাত স্থান থেকে ছাত্রলীগ নেতা আরমান জানান, তিনি নিলুফাকে অপহরণ করেননি। নিলুফার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। মেয়ের পরিবার জোর করে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সে স্বেচ্ছায় তার কাছে চলে আসে।

নিলুফা মনির স্বামী ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা জানার পর আমার পরিবারের লোকজন মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নিলুফা বিয়ের দাওয়াত দিতে কার্ড নিয়ে সকালে বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও জানান।

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/2015

Share