প্রেমের টানে চাচা-ভাতিজির আত্মহত্যা। সম্পর্কে বাড়ির চাচা ভাতিজি হওয়ায় ভালোবাসায় পারিবারিক বাঁধা পড়ে। প্রেমিক খালিদ হাসানের আত্মহত্যার বিষয়টি প্রেমিকা জামিলা খাতুন(১৬) মেনে নিতে না পেরে নিজেও আত্মহত্যা করেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের বারগাঁও বেপারী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের সেনাসদস্য জহিরুল ইসলাম বেপারির মেয়ে মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। একই মাদ্রাসায় বাড়ির আলমগীর হোসেন বেপারীর ছেলে (প্রেমিকা জামিলার চাচা সম্পর্কে) খালিদ হাসান(১৬) নবম শ্রেণীতে পড়তো। প্রায় এক সময়ে মাদরাসায় যাওয়া আসা ও কথাবার্তা হওয়ার সুবাধে এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম-ভালোবাসার বিষয়টি উভয় পরিবার এক মাস পূর্বে জানলে তাদের বাধা দেয়। পরে প্রেমিক খালিদ হাসান (২৭ জানুয়ারি) ২১ দিন পূর্বে আত্মহত্যা করে কিন্তু পরিবার বিষয়টি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে লাশ দাফন করে ফেলে।
প্রেমিকের মৃত্যুর কষ্ট সইতে না পেরে প্রেমিকা জামিলা খাতুন নিজ ঘরের পড়ার কক্ষের দরজা বন্ধ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তাদের মৃত্যুর খবরে এলাকায় বিষাদ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বাবা বলেন, ‘আমি ওর মা পারিবারিক প্রয়োজনে আশ্বিনপুর বাজারে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমার ছেলে জানালা দিয়ে ঘটনা দেখতে পায়। বাজার শেষে বাড়ি ফিরে মেয়ের রুমের দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার মেয়ে এ অবস্থা (ঝুলন্ত অবস্থায়) আছে।’
নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ‘ওই মেয়েটির আত্মহত্যার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।’
অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। মেয়ের বাবাসহ লোকজন এসেছে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২