চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে হিন্দু বাড়িতে প্রেমিকের ঘরের সামনে অনশন করছে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নও মুসলিম তরুণী। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের লালু মাঝির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই অন্তঃসত্ত্বা নও মুসলিম তরুণী। তিন দিন পর আজ রোববার সকালে ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণী প্রেমিকের বাড়ি থেকে নিজ জেলা ভৈরবে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ‘নাটেহারা গ্রামের মাঝি বাড়ির লালু মাঝি ও নজমিয়া আপন ভাই। নজমিয়া দীর্ঘদিন আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হাজীগঞ্জ থেকে ভৈরবে চলে যান। বর্তমানে তারা ভৈরবেই বসবাস করছেন।’
অনশনকারী তরুণী জানান, ‘তার বাবা নজমিয়া মুঠোফোনে এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে দেন। কিন্তু তার চাচা লালুর ছেলে রাজন (২৫) কাজের সুবিধার্থে ভৈরবে যায়। সেখানে তাকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে। শুধু তাই নয়, তার প্রবাসী স্বামীকে সেই ছবিটি পাঠিয়ে দেয় এবং এ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।’
এ বিষয়ে অনশনরত তরুণীর বড়বোন তাসলিমার জামাই মাছুম জানান, ‘ভুক্তভোগীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করেছে। তার সুষ্ঠু সমাধান পেতে আমরা হাজীগঞ্জে এসেছি।’
খবর পেয়ে লালুর ছেলে রাজন আত্মগোপনে চলে গেছে। রাজনের মা শিখা রানী বলেন, ‘দুই মাস আগে ঘটনা জানতে পেরেছি। এখন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী মুঠোফোনে বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর সন্তান প্রসব করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেয়া হবে বলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। এ সমাধান মেনে তারা আজ সকালে চলে যায়।’
হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ জানান, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে অনশনের কথা শুনেছি। তবে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কিনা বলতে পারবো না। যদি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১০ অক্টোবর ২০২১