Home / সারাদেশ / প্রেমিকের বিয়ে শুনে বিয়েবাড়িতে প্রেমিকা, পেটে ছুরিকাঘাত
বিয়ে

প্রেমিকের বিয়ে শুনে বিয়েবাড়িতে প্রেমিকা, পেটে ছুরিকাঘাত

প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন পাপ্পু মিয়া (২২) নামে এক যুবক। এমন সময় বাড়িতে এসে হাজির প্রেমিকা। ক্ষোভে পেটে ছুরিকাঘাত করে বিয়েবাড়িতে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা চালান মনি আক্তার (২৫) নামের ওই তরুণী। ঘটনার পর বিয়ে ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন পাপ্পু।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাঁশরী কান্দাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

প্রেমিকা মনি আক্তার মদন নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাঁশ্রী গ্রামের শাজাহান মিয়ার মেয়ে। আর প্রেমিক পাপ্পু মিয়া একই উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাঁশরী কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পাপ্পু মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মনি ও পাপ্পুর মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। মনি চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পাপ্পু এলাকায় একটি ইলেকট্রিক দোকান চালান। মোবাইল ও ফেসবুকের সূত্রে প্রেম হয়। প্রেমের সূত্রে অনেকবার চট্টগ্রাম যান পাপ্পু। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে একত্রে থেকেছেন। সম্প্রতি পাপ্পুর পরিবার কেন্দুয়া উপজেলাধীন চিতুলিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে দুলেনা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। দুই পরিবারেই বিয়ের ধুমধাম চলছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা পাপ্পুর। এই খবর পেয়ে বুধবার রাতের বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে এলাকায় আসেন মনি আক্তার। পরে বেলা ১১টার দিকে বরযাত্রী রওনা হওয়ার মুহূর্তে পাপ্পুর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন মনি। একপর্যায়ে ক্ষোভে বিয়েবাড়িতেই নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান মনি। এসব দেখে বিয়ে ফেলে এলাকা ছেড়ে পালান পাপ্পু।

পাপ্পুর মা বেদেনা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে এলাকায় ব্যবসা করে। আর ওই মেয়ে চট্টগ্রামে চাকরি করে পোশাক কারখানায়। বৃহস্পতিবার বরযাত্রী নিয়ে নতুন বউ আনতে যাওয়ার কথা পাপ্পুর। কারও কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই মেয়ে বাড়িতে এসে পেটে ছুরি চালায়। সেই থেকে পাপ্পুর খবর পাচ্ছি না। তার মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিয়ের আয়োজনও শেষ হয়ে গেল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদন থানার ওসি মো. তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘খবর শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টাইমস ডেস্ক/ এএস/ ১৬ মার্চ ২০২৩