তূর্য ও কেয়া। পাশাপাশি বাড়ি। পড়ত একই স্কুলের দশম শ্রেণিতে। সবসময় এক সঙ্গেই স্কুলে যাওয়া, প্রাইভেট পড়া ও খেলাধুলার সুবাদে ওদের বন্ধুত্বও গড়িয়েছিল প্রেমে। মৃত্যুকেও যেন তারা বেছে নিল এক সঙ্গেই। সড়ক দুর্ঘটনায় তূর্যের মৃত্যুর খবরে শোক সইতে না পেরে আত্মহননেই প্রাণ দিল কিশোরী কেয়া। শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীতে এ ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুটি ছেলেমেয়ের এমন মৃত্যুতে দুটি পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোনায়েম হোসেন তূর্য নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহের হোসেন সুজার ছেলে ও স্থানীয় ডাঁসমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
অন্যদিকে, আত্মহত্যাকারী তামান্না আক্তার কেয়া স্থানীয় মানিক মিয়ার মেয়ে।
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বিনোদপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি ইটবাহী ট্রাক তূর্যকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে ঘণ্টা খানেক পরে মারা যায় তূর্য। তার লাশ বাড়িতে আনার খবর পেয়ে কিশোরী কেয়া সবার অগোচরে নিজ ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বাড়ির সামনে দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ছাদ থেকে দেখে ফেলে কেয়া। সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।’
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৯:৫৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur