Home / আন্তর্জাতিক / প্রেমিকা ও শিশু কন্যাকে খুন করে মাঝনদীতে ফেলে দেয়
প্রেমিকা ও শিশু কন্যাকে খুন করে মাঝনদীতে ফেলে দেয়

প্রেমিকা ও শিশু কন্যাকে খুন করে মাঝনদীতে ফেলে দেয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৫, রোববারবার

প্রেমিকা এবং তার এক শিশু কন্যাকে খুন করে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা খেলেন সমরেশ সরকার নামে এক প্রেমিক। শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ ফেলে দেয়ার সময় নৌকায় ওই ব্যক্তির অদ্ভুত আচরণ দেখে সন্দেহ হয় আশেপাশের যাত্রীদের।

ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে সবার। ব্যাগে এক নারীর খণ্ডিত দেহ! যাত্রীদের দাবি, ওই ব্যক্তি নারীকে খুনের কথা স্বীকার করেন। পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন যাত্রীরা।

যদিও পুলিশের কাছে নারীকে খুনের কথা অস্বীকার করেন সমরেশ। তার দাবি, আত্মহত্যা করেছেন মা-মেয়ে। কিন্তু, দেহ টুকরো করা হয়েছে কেন? কেন তিনি মা-মেয়ের দেহ ব্যাগে ভরে এনেছিলেন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত সমরেশ সরকার দুর্গাপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী। সেখানকারই বিধাননগরের বাসিন্দা এক সন্তানের মা সুচেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সমরেশ। সুচেতার ছ-বছরের একটি মেয়েও ছিল, রূপাঞ্জনা মুখোপাধ্যায়। মায়ের সঙ্গে মেয়েকেও খুন করে সমরেশ।

কী কারণে মা-মেয়েকে খুন করা হলো, তা পুলিশের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়। গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সমরেশের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, এদিন তিনটে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে দুর্গাপুর থেকে ট্রেনে ওঠে সমরেশ। পরে শেওড়াফুলি স্টেশনে নেমে পড়েন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ওই কর্মী।

এখানে থেকেই নৌকায় ওঠেন তিনি। মাঝ নদীতে নৌকা আসার পর সঙ্গে থাকা দুটি ট্রলি ব্যাগ গঙ্গায় ফেলে দেন সমরেশ। তা দেখে সন্দেহ হয় অন্য যাত্রীদের। তৃতীয় ব্যাগটি ফেলতে গেল, যাত্রীরা বাধা দেন। সেই ব্যাগটি খুলতেই দেখা যায় এক নারীর অর্ধেক দেহ।

পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানান, গঙ্গায় ফেলা অন্য দুটি ব্যাগের একটিতে সুচেতার বাকি দেহ, অন্য ব্যাগটিতে সুচেতার মেয়ে রূপাঞ্জনা। মাঝগঙ্গায় ফেলে দেয়া ওই দুটি ব্যাগ উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত মা-মেয়েকে খুন করার কথা অস্বীকার করলেও, পুলিশের দাবি, বয়ানে অনেক অসংগতি রয়েছে।

এদিকে, সমরেশ যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী, সেখানকার সহকর্মীরা জানান, সমরেশ সরকার বিবাহিত বলেই তারা এতদিন জেনে এসেছেন। তবে, তার স্ত্রীকে কোনো দিন চোখে দেখেননি। সমরেশ যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, এই জোড়া খুনের আগে তা তারা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি।

জানা গেছে, সমরেশের বাড়ি টিটাগড়ে। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও দুই সন্তান রয়েছে তার। সমরেশের স্ত্রীর ধারণা, তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্য কেউ খুন করে, তার দায় স্বামীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫