সারাদেশ

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্বপরিবারে অনশন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের দিঘলকান্দি গ্রামের আতিক হাসান বাবু প্রেমিক হৃদয়ের এক তরতাজা তরুণ। তাকে নিজের করে পেতে নিজ বাড়িতে অনশনে বসেছেন শেরপুরের এক প্রেমিকা। এদিকে, ওই প্রেমিকার অনশন চলাকালেই প্রেমিক বাবু তার ইসলামপুরের অন্য প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।

এমনই চাঞ্চল্যকর খবর স্থানীয়দের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকের বাবা আলতাফ হোসেনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ।

ভালোবাসার দিনেই চার দিন আগেই অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দুজন নিখোঁজ। এখন বাবু তার ইসলামপুরের প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন নাকি তাকে অপহরণ করেছেন তা বলা যাচ্ছে না। তবে অপহরণের অভিযোগ ঠুকেছেন দ্বিতীয় প্রেমিকার বাবা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জের দিঘলকান্দি গ্রামের আলতাফ হোসেনের বাড়িতে তার কলেজপড়ুয়া পুত্র আতিক হাসান বাবুর সাথে বিয়ের দাবিতে শেরপুর উপজেলা শহরের এক কলেজ ছাত্রী টানা ১১ দিন ধরে অনশন করছিল।

এরই মধ্যে এক পর্যায়ে আতিক হাসান বাবু অনশনরত শেরপুরের প্রেমিকাকে ফেলে ১০ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুরের মোশারফগঞ্জ গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। এই মেয়েটিও তার প্রেমিকা বলে জানা যায়।

এ ঘটনার দুদিন পর মোশারফগঞ্জ গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা তার কন্যাকে অপহরণের অভিযোগে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলায় দায়ের করেন। ওই মামলায় দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার প্রেমিক আতিক হাসান বাবুর পিতা আলতাফ হোসেনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

তবে ‘অপহৃতা’ কলেজ ছাত্রী এবং ‘অপহরণকারী’ প্রেমিককে আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শেরপুরের প্রেমিকার অনশন ভাঙাতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুরের মোশারফগঞ্জ গ্রামের ‘অপহৃত’ কলেজ ছাত্রীর পিতা জানান, শেরপুরের মেয়েটিকে অনশন ভাঙানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি একে এম আমিনুল হক জানান, অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে প্রেমিকের বাবা আলতাফ হোসেনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং মামলার প্রধান বিবাদি আতিক হাসান বাবুকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(কালের কন্ঠ)

বার্তা কক্ষ
০২ ডিসেম্বর,২০১৮

Share