প্রেম-দংশনে অকালে প্রাণ হারালেন তরতাজা তরুণ। ক্ষণিকের উত্তেজনায় তাঁর গলায় দাঁত বসিয়েছিলেন বান্ধবী। তার জেরে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
গত শুক্রবার রাতে আচমকা স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা বছর সতেরোর খুলিও মাসিয়াস গনজালেসের। রাতে ডিনার টেবিলেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরিবারের সদস্যরা কিছু বিঝে ওঠার আগেই খুলিওর সারা শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়।
জরুরি কল পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত বাড়িতে এসে পৌঁছন। কিন্তু হাসপাতালে রওনা হওয়ার আগেই নিথর হয় তরুণের দেহ। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
ময়নাতদন্তের পরে চিকিত্সকদের দাবি, গলায় কামড়ের জেরে রক্ত জমাট বাঁধে খুলিওর মস্তিষ্কে। তার জেরে মারাত্মক স্ট্রোক হয়, যার কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে খুলিওর সঙ্গে ২৪ বছরের এক যুবতীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটান খুলিও। শরীরী খেলায় মত্ত যুবতী প্রেমিকের গলায় একসময় দাঁত বসিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে খুলিওর গলায় রক্ত জমাট বাঁধে। বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তরুণ।
কিন্তু ততক্ষণে জমাট বাঁধা রক্তের দলা তাঁর মস্তিষ্কে পৌঁছে গেছে। ফলে ডিনার টেবিলে বসেই মারাত্মক স্ট্রোকের শিকার হন খুলিও। শরীরে খিঁচুনি ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এহেন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ রোগীকেই বাঁচানো সম্ভব হয় না।
এই অকালমৃত্যুর জন্য তাঁর প্রেমিকাকেই দূষছে খুলিওর পরিবার। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই উধাও হয়েছেন সেই যুবতী। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
তবে ভালোবাসার কামড়ের জেরে দুরূহ শারীরিক সমস্যার ঘটনা বিরল নয়। ২০১১ সালে হঠাত্ স্ট্রোকের জেরে পক্ষাঘাতে অসাড় হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের অধিবাসী বছর চুয়াল্লিশের এক মহিলার বাঁ-হাত। চিকিত্সকরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
পরীক্ষায় তাঁর গলায় রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন আবিষ্কার করেন চিকিত্সক দল। জানা যায়, গলার এক প্রধান ধমনীতে চোট পাওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধে। সেই রক্তের দলা তাঁর মস্তিষ্কে পৌঁছনোয় স্ট্রোক হয়ে পক্ষাঘাত সৃষ্টি হয়। এইসময়
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১১:০৬ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
এইউ