প্রেমিকাকে হত্যার ৭দিন পর থানায় আত্মসমর্পণ প্রেমিকের

গাজীপুর সদর উপজেলায় বটি দিয়ে প্রেমিকার গলা কেটে হত্যার সাতদিন পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেছে এক প্রেমিক। পরে প্রেমিকের দেয়া তথ্য মতে বাথরুম থেকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা প্রেমিকার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকায় প্রেমিক মিরাজের বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মারিয়া আক্তার ঝর্ণা (১৯) গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে। আটককৃত প্রেমিক মিরাজ মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকার স্থানীয় মজিবুর রহমান ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝর্ণার সঙ্গে মিরাজের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিরাজকে বিয়ে করবে বলে ঝর্ণা মিরাজকে কথা দিয়েছিল। পরবর্তীতে মিরাজ জানতে পারে ঝর্ণার সঙ্গে একাধিক ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। মিরাজ বিষয়টি ঝর্ণাকে জানালে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঝর্ণাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মিরাজ। এর প্রেক্ষিত্রে গত ২৪ ডিসেম্বর মিরাজের নিজ ঘরে নিয়ে ঝর্ণাকে হত্যার পর ঘরের এ্যাটাচ বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকেই মিরাজ থানার সামনে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। তার ঘোরাঘুরি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে থানার ভেতরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার প্রেমিক ঝর্ণাকে খুন করার কথা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে মিরাজের ঘরের ভেতরের বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

জয়দেবপুর থানা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ঝর্ণাকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় প্রেমিক মিরাজ আটক করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টাইমস ডেস্ক/ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

Share