চাঁদপুরে পার্কে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে দীপা রাণী মাঝী নামের এক প্রেমিকা রক্তাক্ত জখম হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন দীপা।
প্রেমিকা দিবা রানীকে হত্যাচেষ্টায় প্রেমিক দীপু মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রেমিকার বাবা যজ্ঞেশ্বর মাঝি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক দীপু মজুমদারকে মঙ্গলবার ০৩ মার্চ দুপুরে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার বর্ণনা এবং দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন দীপু। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন…
অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় চাঁদপুরে পার্কে ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত
হাসপাতালের বেডে অস্পষ্ট স্বরে দীপা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, রায়পুর জেলার তার মামার বাড়ি ক্যাম্পেরহাট এলাকার দীপু মজুমদার নামের এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গেলো ক’দিন আগে পারিবারিকভাবে দীপার অনত্র বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। তারই সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে দীপু মজুমদার দীপাকে নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফাইভ স্টার পার্কে ডেকে নেন। দীপা জানায়, তার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার কারনে দীপু মজুমদার রাগে ক্ষোভে তার পেটে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবক সাগর চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘ঘটনার সময় আমরা বন্ধুরা মিলে পার্কে বসে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শুনে দেখি এক দীপার সাথে থাকা যুবক তাকে মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে এবং যুবকের পুরো শরীরের পোষাক রক্তে ভিজে আছে । এসময় আমরা দৌড়ে গিয়ে ওই যুবককে আঘাত করে দীপাকে রক্ষা করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
ঘটনাস্থল থেকেই দীপু মজুমদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দীপু মজুমদারের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ক্যাম্পেরহাটে। তার বাবার নাম রত্নেশ্বর মজুমদার। দীপু রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দিবা রানী মাঝির বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরকৃষ্ণপুর গ্রামে। তার বাবার নাম যজ্ঞেশ্বর মাঝি। চাঁদপুর সরকারি কলেজে বাংলায় স্নাতক শিক্ষার্থী তিনি।
স্টাফ করেসপন্ডেট,৩ মার্চ ২০২০