রাজশাহীর তানোরে নিরুদ্দেশ হতে চাওয়া প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুলিশের হতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসী। তবে আটকের কয়েকঘন্টার মাথায় রহস্যজনকভাবে ওই প্রেমিক যুগলকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাত মাস আগে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর রাজশাহী কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজেদুল ইসলামের (২৪) সঙ্গে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের দেওলা ডাংগাপাড়া গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা খাতুনের (১৯) মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরে শুক্রবার বিকালে প্রেমিক সাজেদুল তার প্রেমিকার এলাকায় যান। এসময় প্রেমিকার কথামতো প্রেমিক সাজেদুল তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হতে গিয়ে উপজেলার কালিগঞ্জ মোড়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
তবে প্রাপ্তবয়স্ক এ প্রেমিক যুগল বিয়ের সম্মতি দিলেও রহস্যজনক কারণে ও প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের তদবিরে সন্ধ্যায় থানা হেফাজত থেকে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আটকের সময় প্রেমিকা ফাতেমা খাতুন প্রতিবেদককে বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের লোকজন তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইছিলেন। ফলে সে নিজের ইচ্ছায় পরিবার ছেড়ে প্রেমিক সাজেদুলের হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তার ভাইয়েরা স্থানীয়দের মিথ্যা কথা বলে আটক করিয়ে পুলিশে দেন। এ নিয়ে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক প্রতিবেশী বলেন, ফাতেমার ভালো পরিবারে বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর ফাতেমার ভাই ও পরিবারের লোকজন সেখানেই বিয়ের পাকা কথা দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে প্রেমিক সাজেদুল উচ্চ শিক্ষিত হলেও দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ফাতেমার পরিবার তার সঙ্গে কোনমতেই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি।
তানোর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষে কোনো অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। যুগান্তর।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৪৫ এএম, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ শনিবার
এইউ