চাঁদপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২০ কেন্দ্রে প্রার্থী ১৬,৩৫৩ জন

সারাদেশব্যাপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫ ’-এর লিখিত পরীক্ষার ২ জানুয়ারি ২০২৬ সকাল ১০ টায় শুরু হবে। চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩শ ৫৩ জন। জেলা সদরের ২০টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে ।

সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে জানা গেছে-চাঁদপুর জেলায় ২৪২ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পলে প্রতি পদের বিপরীতে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রতি ২৫ জন প্রার্থীর জন্যে ১ জন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। সে মতে-৬শ ৫৪ জন স্ব-স্ব প্রতিষ্টানের শিক্ষক পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। ১০-১১ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টাব্যাপি এ পরীক্ষা হবে।

ভার-প্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্¥দ মোছাদ্দেক হোসেন রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান। এ দিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রোববার কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে একটি সভা বিকেল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো.নাজমুল ইসলাম সরকার ও শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সভাপতি এ সভায় সভাপত্বি করেন এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

ভার-প্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন ডিজিটাল কন্টেন্ট এর মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে উপস্থাপন করেন।

জেলা প্রশাসক অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন ,‘এ পরীক্ষায় কোন সহকর্মীকে আমরা রেখে যাচ্ছি-তার প্রতিফলন এ পরীক্ষার মধ্যে ফুটে উঠবে। এখানে আদর্শ নিয়ে অনেক বড় বড় শিক্ষক বসে আছেন। এ আদর্শকে কেউ বিক্রি করবেন না। তাই পবিত্রার মাধ্যমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন,‘ নিয়োগ ও পরীক্ষার বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় গ্রহণ করা যাবে না। ন্যায়,সততা ও স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। পরীক্ষার্থীদের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। যিনি পরীক্ষায় ভালো করবেন তিনিই ভাইভায় আসতে পারবেন। পরীক্ষার হলে কোনো পর্যবেক্ষকের মোবাইল ফোন থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।’

প্রসঙ্গত -পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শুরুতে দ’ুটি ধাপে পরীক্ষার কথা বলা হলেও নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে দু’ধাপের পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

২ জানুয়ারি তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত দেশের সকল জেলায় এ নিয়োগ পরীক্ষা হবে। সকাল ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়া হবে। দু’ ধাপে আবেদন করা প্রার্থীদের একই দিনে পরীক্ষা নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ১০ হাজার ২ শ ১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯ শ ২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ৪ হাজার ১ শ ৬৬টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১ শ ৫১টি।

দু’ধাপ মিলিয়ে সারাদেশে ১৪ হাজার ৩ শ ৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। দেশব্যাপি সেই হিসাবে গড়ে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়াই করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে (সকাল ৯টার মধ্যে) কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হবে। এরপর আর কোনো প্রার্থীকে ঢুকতে দেয়া হবে না। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আলাদাভাবে নারী ও পুরুষ প্রার্থীদের তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। ব্লু-টুথ বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস শনাক্ত করতে পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। কোনে কোনো ‘স্পাইক ইয়ারফোন’ আছে কি না, প্রয়োজনে তা টর্চলাইট দিয়ে চেক করা হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর,স্মার্ট ওয়াচ, যে কোনো ধরনের ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ,পার্স বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রার্থীদের একটি ওএমআর শিট দেয়া হবে যা কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে।

পেনসিল ব্যবহার করলে উত্তরপত্র বাতিল হবে। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র-উভয়ই পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে ; প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কারো মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। ভুয়া পরীক্ষার্থী বা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রদান করা হবে।

আ ব দু ল গ নি
২৯ ডি সে ম্ব র ২ ০ ২ ৫
এ জি