চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২ এর আওতায় এলাকা নং ৩ এর পরিচালক পদে নির্বাচন করতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন জাকির হোসেন পাটওয়ারী। কিন্তু মনোনয়ন পত্র যাছাই বাছাইয়ে জাকির হোসেন মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। তবে কি কারনে ওই মনোয়র অবৈধ করা হলো তার সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রার্থী জাকির হোসেনকে জানায়নি।
নিরুপায়া হয়ে অবশেষে উক্ত নির্বাচন স্থগীত ও একক প্রার্থী হিসেবে নূরনবী পাটওয়ারীকে ঘোষনা না দেয়ার জন্য প্রার্থী জাকির হোসেন ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর নির্বাচন কমিশন ও সহকারী নির্বাচন কমিশনারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন।
আদালতে দায়েরকরা অভিযোগ ও প্রার্থী জাকির হোসেন জানায়, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২ এর আওতায় এলাকা নং ৩ এর পরিচালক পদে নির্বাচন এর তপসিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন প্রধান। সে মতে গত বছরের ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন ক্রয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ৫ ই ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ ছিলো। তারই প্রেক্ষিতে পরিচালক পদে প্রার্থী মো. জাকির হোসেন পিতা মো. ওয়াজিদ উল্যাহ পাটওয়ারী সাং কাওনিয়া ও মো. নুরুন নবী পাটওয়ারী পিতা মৃত জয়নাল আবেদিন পাটওয়ারী সাং পশ্চিম বড়ালী এ দু’জন যথা সময়ে যথা নিয়মে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন মেনে উক্ত মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন নির্ধারণ ছিলো। প্রার্থীদয় এর উপস্থিতিতে মনোনয়ন যাচাই-বাচাইয়ের ফলাফল প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় মো. জাকির হোসেন এর মনোয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু কি কারনে কেনো মনোনয়নটি অবৈধ ঘোষনা করেন প্রার্থী মো. জাকির হোসেন নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইলে রহস্যজনক কারনে লিখিত বা মৌখিক কোন কারন তিনি জানান নি এবং জানাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে পরিচালক পদের প্রার্থী মো. জাকির হোসেন সু-বিচারের আশায় বিজ্ঞ আদালতের স্বরনাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছেন। আদালতে দায়েরকৃত মোকাদ্দমা নং ২৮/২০২০ তারিখ ২১/০১/২০২০ । বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩নং বিবাদী মো. নুরুন নবী পাটওয়ারীকে এলাকা পরিচালক পদে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা না করা এবং বাদী মো. জাকির হোসেন এর মনোনয়ন কেনো বৈধ ঘোষনা করা হবে না এই মর্মে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্বাচন কমিশনার ও সহকারি নির্বাচন কমিশনারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে পরিচাক পদে বঞ্চিত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি নিরুপায় হয়ে সু-বিচারের জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছি। এবং আমি আশাকরি নির্বাচন কমিশন আদালতের দেওয়া আদেশ এর প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি আমার বিষয় গুলো আদালতের মাধ্যমে আমাকে অবহিত করিবেন।
শিমুল হাছান