চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে মিছিল ও মটর সাইকেল শোভা যাত্রা জিরো ট্রলারেন্স। তবে উঠান বৈঠক করতে পারবেন। যান চলাচল বিঘ্ন ঘটাতে পারবেন না। কে কোথায় উঠান বৈঠক করবেন, তার তালিকা ৮ মার্চের মধ্যে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। কাউকে উদ্দেশ্যে করে বক্তব্য দেয়া যাবে না।
১ মার্চ রোববার চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠানে মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভা ও উঠান বৈঠকের ২৪ ঘন্টা পূর্বে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানাতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ১৫ ওয়ার্ডে ১৫টি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি মাইক দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার কাজে ব্যবহার করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরে করা যাবে না।
রিটার্নি কর্মকর্তা বলেন, আপনারা প্রত্যেকের সাহস আছে বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। হুমকি ও ধমকি এটি একটি সাধারণ বিষয়। সব ধরণের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেউ কোন অভিযোগ দিবেন, তার কোন ভিত্তি থাকবে না, তা করা যাবে না। সঠিক অভিযোগ করা হলে তদন্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টির সঠিক ব্যাখ্যা দিবেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা আরো বলেন, ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে উৎসব উপলক্ষ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যানার, পেস্টুন সাঁটিয়েছেন। সেগুলো এখন থেকেই নিজ দায়িত্ব অপসারণের ব্যবস্থা করবেন।
আগামী ৯ মার্চ থেকে নির্বাচন আচরণ বিধি ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। আমরা চাই সকলে সঠিক নিয়ম মেনে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। নিয়ম লঙন করে কোন প্রার্থীর জরিমানা হউক তা আমরা চাই না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মসজিদ, মন্দিরে গিয়েও প্রচার করছেন এমনও অভিযোগ রয়েছে। এই ধরণের কাজ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্গনের শামিল। কেউ ৯ মার্চের আগে কোন ধরণের প্রচারণা করতে পারবেন না। কোন কর্মী ভুল করলে আপনি প্রার্থী হিসেবে সোকজ ও জরিমানার শিকার হবেন। তাই সকলকে এখন থেকে আপনাদের কর্মীদের সতর্ক করে দিবেন। যে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তিনি ২, ৩ ও ৪ মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবর বাতিলকৃত প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে ২০১৫ সালে কেন্দ্র ছিলো ৫২টি। এবার এলাকা বাড়িয়ে আরো ৩টি যোগ করা হয়েছে। নতুন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে: পুরাণ বাজার জাফরাবাদ মাদ্রাসা কেন্দ্র, হাফেজ মাহমুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ষোলঘর উচ্চ বিদ্যালয়।
এ সময় নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. সেলিম উল্যাহ সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. জয়নাল আবেদিন। আরো দেখুন-চাঁদপুরে তিন মেয়রসহ ১শ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২ মার্চ ২০২০