এ পরীক্ষার মাধ্যমে এবার সারাদেশে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণে বৃত্তি পাবে।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় দেশজুড়ে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয় । চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
দু’ঘণ্টার পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বাংলা,ইংরেজি,গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ২০ % এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে এবার সারাদেশে ৩৩ হাজার ও সাধারণে ৪৯ হাজার ৫শ শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩ শ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়। প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ বৃত্তি দেয়া হয়।
পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে,তা নির্ধারণে এক সময় আলাদাভাবে এ পরীক্ষার চল ছিল।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনির ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া শুরু হয়।
সর্বশেষ প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালে। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মহামারীর কারণে গেল দু’বছর প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হতে যাওয়ায় সমাপনি পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না।
আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকের প্রথম ও শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
শিখন কার্যক্রমকে আনন্দময় ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক করতে নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষার চাপ কমানোর রূপরেখা দিয়েছে সরকার।
নতুন শিক্ষাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি এবং অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার কোনোটিই নেই।
এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনায় শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের অনেকেই উদ্বেগ জানিয়েছিলেন।এ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে গণমাধ্যমে বিবৃতিও এসেছিল। তবে সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনিতে মেধাবৃত্তি দেয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এজি