সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে শিক্ষক নিয়োগ করা
হয়েছে ও অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ জারি করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি (পিইসি) পরীক্ষা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পিইসি পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। এ পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো.জাকির হোসেন।
সংসদ সদস্য মো.হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রিচিং আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেউজ-২ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৫৮ টি উপজেলায় ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ১,৯১৬টি শিখন কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৮৭২ শিক্ষার্থী এবং ১০ টি সিটি কর্পোরশেনে ৩২৫টি কম্পাউন্ডে ১,৫১৮টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৭৩২ বস্তিবাসী শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী এমপি বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়েপড়া রোধে স্কুল বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। পড়ার উপযোগী পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
বার্তা কক্ষ
২৪ জুন ২০১৯