প্রাথমিক শিক্ষায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাংলাদেশ

১১ এপ্রিল ২০১৫, শনিবার

চাঁদপুর টাইমস ডট কম :

প্রাথমিক শিক্ষায় (প্রাইমারি অ্যাডজাস্টেড নেট এনরোলমেন্ট রেট) প্রায় ৯৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ইউনেস্কো সম্প্রতি `এডুকেশন ফর অল ২০০০-২০১৫ : অ্যাচিভমেন্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস` শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। আর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ইউনেস্কোর এডুকেশন ফর অল (ইএফএ) গ্লোবাল মনিটরিং কর্মসূচির আওতায় ।

সেই সাথে এই প্রতিবেদনে সেনেগালে ২০০০ সালে ১৬৪টি দেশ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার করেছে, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি, বিদ্যমান সমস্যা ও ভবিষ্যতে উন্নয়নের জন্য করণীয় নির্দেশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ব্যাপারে বলা হয়, নিম্ন আয় সত্ত্বেও অল্প যে কয়েকটি দেশ জাতীয় বাজেটে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে, বাংলাদেশ সে সব দেশের একটি। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে যেখানে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল ১৮ শতাংশ, ২০১২ সালে তা ২৬ শতাংশে দাঁড়ায়। গ্রাম-শহর উভয় অঞ্চলেই বেড়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার হার। মানের দিক থেকেও এগিয়েছে এ পর্যায়ের শিক্ষা।

প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে বলা হয়, ২০০০ সালে বাংলাদেশে স্কুলেই যেত না এমন শিশু ছিল ২০ শতাংশ। ২০১০ সাল নাগাদ এর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়। উপবৃত্তির কারণে স্কুলগামী মেয়েশিশুর হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। স্কুলে খাবার কর্মসূচিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশ সরকারের ২০১৩ সালের শিক্ষাবিষয়ক এক জরিপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ৫০ শতাংশ ও পুরুষের ৫৭ শতাংশ শিক্ষিত। জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন নারী ৩৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৪ শতাংশ। তারা কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার সঙ্গে লিখতে, পড়তে ও গাণিতিক যুক্তি সম্পন্ন কাজ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে এ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে তারা সক্ষম।

শিক্ষার অগ্রগতিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি বড় ভূমিকা রাখছে। বিদ্যুৎ আছে এমন এলাকাগুলোতে স্কুলগামী শিশুর হার তুলনামূলক বেশি। তবে শিক্ষার অগ্রগতিতে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্য। এই বাধা পেরিয়ে দেশে শিক্ষার হার বাড়াতে শহরের বস্তিবাসী শিশুদের দিকেও বাড়তি নজর দিয়েছে সরকার।

বর্তমানে প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত একেকজন শিক্ষকের বিপরীতে আছে ৭০ জন শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ৩০:১। উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও অচিরেই অর্জিত হবে ইএফএ লক্ষ্যমাত্রা।

সূত্র : ইউনেস্কোডটঅরগ

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/2015

Share