শিক্ষাঙ্গন

প্রাথমিক শিক্ষকদের পিএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি 

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহালসহ পাঁচ দাবি না মানলে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি (পিএসসি) পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম তোতা।

দাবি আদায়ে আগামী ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই ঘণ্টা এবং ২১ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

অষ্টম বেতন কাঠামো নিয়ে সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কর্মসূচি এল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমর্থন জানিয়ে তারাও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চেয়েছেন।

গত বছর পিএসসি পরীক্ষায় শিশুরা। এই বছরের এই পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে শিক্ষকরা গত বছর পিএসসি পরীক্ষায় শিশুরা। এই বছরের এই পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে শিক্ষকরা আনোয়ারুল বলেন, “জাতীয় বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখা, সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণীর জটিলতা দ্রুত নিরসন, প্রাথমিক শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পর্যন্ত সব শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান, সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জটিলতা অক্টোবরের ১৪ তারিখের মধ্যে নিরসন না করলে পিএসসি পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

বেতন কাঠামোর জটিলতায় ২০০৯ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় সারাদেশে হাজার হাজার প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য থাকার কথাও বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এতে বিদ্যালয়ে পাঠদান ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও শিক্ষক নেতারা জানান।

২০১২ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক পদকপ্রাপ্ত বগুড়ার মোকামতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, “প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকগণ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় অন্যরা তাকে মানেন না। ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল বাসার, সহ সভাপতি জুলফিকার আলী, যুগ্ম- সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।

 

| আপডেট: ০৯:১৪ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share