সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ৮২ হাজার ৪২২ জন বৃত্তি পেয়েছে। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বৃত্তির ফল প্রকাশ করেন। এছাড়াও এদিন ইবতেদায়ির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। ।
২০১৯ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তির ফল তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যেভাবে জানা যাবে ফল
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে এই ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা পর্যায়ে পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
পিইসি পরীক্ষার্থীদের জন্য :DPEThana/Upazila Code No, Roll Number, Year and Send to 16222
এবতেদায়ি পরীক্ষার্থীদের জন্য: EBTThana/Upazila Code Number, Roll Number, Year and Send to 16222
উল্লেখ্য, এবার মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানার কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়। এবার মোট ৮ হাজার ২৪টি ইউনিয়ন/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) হিসাবে মোট ৪৮ হাজার ১৪৪টি এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৩৫৬টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানা থেকে আরও ২টি (একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী) করে ৫১১টি উপজেলা/থানায় ১ হাজার ২২টি সাধারণ এবং আরো অবশিষ্ট ৩৩৪টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলা থেকে আরও ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪টি জেলায় ২৫৬টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়ায় ৭৮টি বৃত্তি রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, বৃত্তির ফল ডিপিই’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা পর্যায়ে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর শুরু হয় পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা। এতে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল।
ঢাকা ব্যুরো চীফ