আজ সেই ভয়াল ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল । এ দিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারায় অন্তত দেড় লাখ মানুষ।
সে দুর্যোগে স্বজন হারিয়েছিলো হাজারও পরিবার। চট্টগ্রামের সীতাকু-, সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা আর কক্সবাজারের মহেশখালী,কুতুবদিয়া উপকূলে প্রাণ হারায় অন্তত ১ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ এবং সব হারিয়ে নিঃস্ব হয় আরও ১ কোটি মানুষ। আর ঘূর্ণিঝড়ের পর লবনাক্ততার কারণে উপকূলে দীর্ঘদিন ফসলও ফলাতে পারেনি কৃষকরা।
১৯৯১ সালের এ দিনে ভয়াল ঝড়ের কবলে পড়ে সোহেল সারোয়ার নামে একজন। পেশায় তিনি ছিলেন আলোকচিত্রী। আর এসময় তার বয়স ছিল ৮ বছর। তিনি পরিবারের সঙ্গে বাঁশখালির গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন মেলা দেখতে।
পরদিনই পড়েন সে ভয়াল ঝড়ের কবলে। পাহাড় সমান উঁঁচু ঢেউ। মায়ের হাত ধরে দু’ ভাই সারারাত কোনো মতে ভেসে থাকলেও মারা যায় ছোট ভাই। বাবার কোল থেকে ছিটকে হারিয়ে যায় আরেক ভাই।
সে ঘূর্ণিঝড়ের পর এখন উন্নত প্রযুক্তিসহ রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সচেতনতা অনেক বেড়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। উন্নত হয়েছে আশ্রয়ণসহ অবকাঠামো ব্যবস্থা। কমেছে প্রাণহানির আশঙ্কাও। সূত্র : ইনডিপেনপেন্ট টিভি
বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:১০ পিএম,২৯ এপ্রিল ২০১৮,রোববার
আবদুল গনি <