Friday, May 22, 2015 02:34:43 PM
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন :
টাকা দিতে না পারলে চোখ উপড়ে নেয়া হতো। ঘণ্টা পর ঘণ্টা ধরে চলতো বেধড়ক শারীরিক নির্যাতন আর দিনে এক মুঠো ভাত ও পাতলা ডাল দেয়া হতো জীবন বাঁচিয়ে রাখতে। পাচার হয়ে যাওয়া কিছু মানুষের সেসব সময়ের কিছু অভিজ্ঞতার কথা এগুলো।
কেউ ১৫ লাখ কেউ ২০ কেউবা তারও বেশি টাকা হারিয়েছেন দালালের খপ্পরে পড়ে। তেমনি কিছু মানুষ তাদের নিষ্ঠুর সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমে কাছে।
মাস গেলে বেতন ৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার। স্বপ্নের দেশে সোনালী ভবিষ্যতের হাতছানি। শুধু কষ্ট করে যেতে হবে পাশের দেশ ভারতে এরপর গন্তব্য কানাডা। এমন প্রলোভনে কলেজের পাঠ না চুকিয়ে তিতুমির কলেজের ছাত্র খন্দকার বাপ্পির যাত্রা শুরু হয় মার্চে। দালালের হাত ধরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হতে হয় ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই। এরপর নেপাল সীমান্তে এসে বুঝতে পারে বাপ্পি তার মতো আরো ২৫ হতভাগ্যের জন্য অপেক্ষা করছে ভংঙ্কর ভবিষ্যৎ।
দালালদের খপ্পর থেকে ফিরে আসা বাপ্পি জানান তার অভিজ্ঞতার কথা, শর্ত মতে ২০ লাখ টাকা মিললে ফিরে পাওয়া যায় জীবন। আর তা না হলে নেপালের গিরিখাদে পড়ে থাকে নিথর দেহ। পরিবারের কাছে টেলিফোন করে বলতে বাধ্য করা হয় নিরাপাদ কানাডা পৌঁছানোর খবর। শুধু তাই নয় নিশ্চিত করতে হয় চাকুরির খবরটিও।
প্রাণে বেঁচে ফিরে বাপ্পি দালালের কাছে পাওনা টাকার জন্য সালিশে বসলেও মেলেনি টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা।
পানিপথে দুর্ভোগ আর নৃশংসতার মাত্রা যেন আরও বেশি। যারা ফিরে এসেছেন, তারা মৃত্যুকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
আর যারা এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা পার করে পৌঁছান স্বপ্নের দেশে। তারাও ভালো নেই।
ভূক্তভোগীদের দাবি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে ওঠা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ওপর সরকারের কঠোর নজরদারি এবং দালালচক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫
নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।