দেশের বৃহত্তম চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী সংরক্ষণ কমিশনের (এনআরসি) চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
রোববার (৪ মার্চ) প্রকল্পের উদ্দমদী পাম্প হাউজ ও বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন তিনি। এসময় নদী কমিশনের আজীবন সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মো. আলাউদ্দিন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আক্তার, চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান, মতলব উত্তর চেয়ারম্যান কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মোনপুর ইউপির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছুল হক চৌধুরী বাবুলসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে এনআরসি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পটি দেশের একটি অন্যতম সেচ প্রকল্প। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এ প্রকল্পের সকল সমস্যা সমাধানে শ্রীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ১৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমি ছিল। এখন তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ হাজার হেক্টরে। অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও বনায়ন করার কারণে আবাদী জমি নষ্ট হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মধ্যে সকল স্থানে কিভাবে পানি পৌঁছে দেয়া যায় এবং বর্ষাকালে কিভাবে পানি নিষ্কাশনের গতি বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও আমরা কাজ করছি। তাছাড়া ইরি-বোরো মৌসুমে প্রকল্পের সকল স্থানে যাতে খুব সহজে পানি পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারেও কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ইরি মৌসুমে প্রাকৃতিক সংরক্ষিত পানি দিয়ে চাষাবাদ হবে। খরচ বাঁচাতে বর্ষায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ওয়াটার কনসারভেশন নির্মাণ করা যেতে পারে। যাতে বৃষ্টির সময় পানি সংরক্ষণ করা যায়। এবং পরবর্তী মৌসুমে ওই পানি দিয়ে কম খরচে চাষাবাদ করা যায়। এ ব্যাপারেও আমরা দ্রæত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করবো। প্রকল্পে আবাদী জমি বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামাল