আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন,বেড়িবাঁধের ২০টি স্থান ঝুঁকিতে রয়েছে। সিপাইকান্দি-ঠেটালীয়া ও দক্ষিণ রামপুর বেড়িবাঁধ রক্ষায় বালি ভর্র্তি জিও ডাম্পিং করা হয়। বাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রাকৃৃতিক দূর্যোগ ও নদী ভাঙ্গণে বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার উন্নয়নকে টেকসই করার জন্য বেড়িবাঁধকে টেকসই করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
১ জুন মঙ্গলবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সিপাই কান্দি-ঠেটালীয়া গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা রোধকল্পে বালুর বস্তা জিও ব্যাগ নদীতে নিক্ষেপ ও গননার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে এলাকার বেড়িবাঁধ টেকসই করার যে মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে কোন মানুষ আর প্রাকৃৃতিক দুর্যোগের কারণে আশ্রয়হীন হবে না। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবনযাপন করবে।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা হাবিব শাপলা, মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আকিকুর রহমান, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিন, নাউরী আহম্মাদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম তাজুল ইসলাম,মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের এসও জামাল হোসেন, এসও সালাউদ্দিন’সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকেকৗশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অরক্ষিত বেড়িবাঁধকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে সেচ প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধকে টেকসই রূপে গড়ে তুলবো। আপনাদের পানি মুক্ত করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সিপাই কান্দি-ঠেটালীয়া গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা রোধকল্পে টেন্ডারের মাধ্যমে ১৭৫ কেজির বালির জিও ব্যাগ সাড়ে ছয় হাজার বস্তা ও পাউবো’র নিজস্ব ৭৫ কেজির বালির জিও ব্যাগ ১৩ হাজার মোট প্রায় ২০ হাজার বালুর বস্তা জিও ব্যাগ নদীতে নিক্ষেপ ও গননার উদ্বোধন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur