বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার ২৩ অক্টোবর সকাল থেকেই আকাশে মেঘ দেখা যায়। দুপুর ১২টার পরই শুরু হয় বৃষ্টি।
একই সঙ্গে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গাবুরা,পদ্মপুকুর,বুড়িগোয়ালিনীসহ উপকূলীয় এ অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ‘বুধবার এ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ডানা। উপকূলীয় অঞ্চলে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন,‘ডানার প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সকালে আকাশ মেঘলা ছিল। এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।’ শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.শাহিনুল আলম বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ ১শ ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৯শ ৮০ জন সিপিপি সদস্য রয়েছে; যার মধ্যে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগরে কর্মরত এসও প্রিন্স রেজা বলেন,‘শ্যামনগরে ৩ শ ৬০ কি.মি. মতো বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ছয়-সাতটি পয়েন্ট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে কাজ চলছে।’
এছাড়াও সাতক্ষীরা পাউবো-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সালাউদ্দিন বলেন,‘পাউবো-১-এর আওতায় ৩ শ ৮০ কি.মি.বেড়িবাঁধের মধ্যে তিন কি.মি.অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বড় ধরনের দুর্যোগ না এলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই।’
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৪
এজি