চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে অশ্লীল ভাষায় একটি বেনামি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার কর্মস্থল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় গতকাল বুধবার চিঠিটি পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার ওই চিঠির বিষয়টি ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারপতিদের অবগত করেন তুরিন আফরোজ। একইসঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিটির একটি ফটোকপি গণমাধ্যমকে দিয়েছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তবে প্রকাশ অযোগ্য অশ্লীল শব্দে ভরপুর হওয়ায় সেটির স্ক্যান কপি ছাপানো হলো না।
এর আগে বুধবার দুপুরে ব্রিটিশ নাগরিক ও ইংরেজি দৈনিক নিউএজের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে বিবৃতিদানকারী ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া রুলের আদেশ শেষে তুরিন আফরোজ কর্মস্থলে যান। এসময় ডাকযোগে আসা চিঠিটি হাতে পান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে চিঠির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালকেও অবহিত করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তুরিন আফরোজ।
এছাড়াও নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে চিঠিটি সম্পর্কে এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স) সহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছেন তিনি।
এবিষয়ে তুরিন আফরোজ বলেন, ‘চিঠিতে আমার পেশাদারিত্ব ছাড়াও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। চিঠির ভাষা এতোটাই অশালীন যে এটা সভ্য সমাজের ভাষা হতে পারে না। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অশ্লীল মন্তব্যে লেখা বেনামি এই চিঠিতে আমি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এখনই (দুপুর ৩টা ৫৪ মিনিট সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন লেখা সম্পন্ন হয়েছে।
পরে তিনি বনানী থানায় জিডি করেন।
কাঠপেনসিল সদৃশ মোটা কালিতে বড় বড় অক্ষরে লেখা চিঠিতে তুরিন আফরোজকে সম্বোধন করা চিঠিটির আপত্তিকর কিছু অংশ বাদ দিয়ে বাকিটুকু পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:
তুরিন আফরোজ ১২ মে ২০১৫
গতকাল তুমি আনু মুহাম্মদ প্রভৃতির বিরুদ্ধে তুমি ২ নং ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক করেছো। যাদেঁরকে তুমি আদালত অবমাননার শাস্তি দেয়ার জন্য এত কসরত করেছো তুমি তো তাদের একটা মরা ….(লেখার অযোগ্য) যোগ্যও নও। যাঁদের ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য এত চেষ্টা তাঁরা কারা? এদের মধ্যে যাঁরা আছেন তাঁরা দেশের সম্পদ। আনু বা জাফরুল্লাহর পায়ের ধূলার যোগ্যও তুমি না, তাই না?তুমি…(অপমানজনক সম্বোধন), এঁরা যে সমাজে থাকে, ঘুরাফেরা করে তার আশে পাশ দিয়ে যাওয়ার যোগ্যতাটুকুও রাখো না।
তুমি যে ‘মহান’ ট্রাইব্যুনাল এবং ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলছো তা এক আস্ত গর্দভ ছাড়া কেউ বলে না। ট্রাইব্যুনালের তথাকথিত ‘জজ’রা তো পাড়ার গলির বিবাদ মিমাংসার যোগ্যতাও রাখে না।
তুমি এক পস্তাপচা…(অশ্লীল গালি)। তোমার চেহারা ও শরীর আয়নায় দেখো না? ফ্যাস ফ্যাস করে কথা বলো, দাঁতের মূলা বের হয়ে কি কুতসিৎই না দেখা যায়। তোমার…(বিশেষ অঙ্গ ইংরেজিসহ)।
বি.দ্র. চিঠির বাকি অংশটুকুতে অশ্লীল শব্দের ছড়াছড়ি। তাই তা প্রকাশ করা হলো না।