প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী) আর থাকছে না। ফলে আবারো ফিরে আসছে শতভাগ লিখিত পরীক্ষা। রবিবার এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পরে। এ বিষয়টি নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। এর পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এমসিকিউ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ২০১৫ সালে বলেছিলাম ২০১৭ থেকে বন্ধ এমসিকিউ করা হবে। ১০ নম্বর কমানো হবে। এখন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের নিয়ে সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেবো।
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী জানান, এমসিকিউ তুলে দিতে বৈঠকে আমি প্রস্তাব করেছি। কারণ শিক্ষার্থীরা এক নজর দেখে পরীক্ষার হলে গিয়ে সহজেই উত্তর দিতে পারে। শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন থাকলে এ সুযোগ থাকবে না। মেধারও সঠিক মূল্যায়ন হবে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন প্রশ্নফাঁসে জড়িত কাউকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফেসবুক, ইমোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সবশেষে শনিবার পরীক্ষার শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্রটি ফেসবুকে একটি গ্রুপে পাওয়া যায়।
প্রশ্নপত্রটি ওই গ্রুপে আপলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অনেক গ্রুপ ও পেজে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ওই প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
(জুম বাংলা)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ২০ পি.এম, ০৫ ফেব্রুয়ারি২০১৮,সোমবার ।
এএস.