দীর্ঘ বিরতির পর সারা দেশের ১১টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নফাঁসের যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো.জাকির হোসেন।
তিনি বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। যদি কারও কাছে তথ্য থাকে, আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
শুক্রবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরুর পর রাজধানীর ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,`‘সেজন্য শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না । ’
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সরকার ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু মহামারির কারণে তখন আর পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক অবসরে গেছেন জানিয়ে মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক ঘাটতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে।
এ সমস্যার নিরসন করতে পূর্বের বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এপ্রিল ২৪,২০২২ , রোববার
এজি