রাজনীতি

‘প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো জীবন-মরণ সমস্যা’

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক। আপডেট: ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোকে সরকারের ‘জীবন-মরণ সমস্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে প্রশ্নপত্র ছাপার পদ্ধতি পরিবর্তন করায় এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

আজ সোমবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার কারণ সম্পর্কিত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এখনো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারেনি। যে কারণে কিছু কিছু জায়গায় ফল খারাপ হয়েছে। কিন্তু এটাকে সমস্যা বলে মনে করি না। সমস্যা হলো প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো। সে জন্য প্রশ্নপত্র ছাপার পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যান কারও পক্ষেই এখন আর প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব নয়।’

প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে সবকটি শিক্ষাবোর্ডকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বোর্ড থেকে ২০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ফল বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক স্তরে ২১ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে যায়
শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে প্রায় ২১ ভাগ শিশু ঝরে যায় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। সরকার দলের মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৯ জন। ভর্তিও হার ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছিটমহল এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত কোনো বিদ্যালয়কে সরকারি করা হবে না। ছিটমহল এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। বাকি ১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয় দরকার। এ জন্য ১ হাজার ৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কোথায় কোথায় বিদ্যালয় করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হলে সরকার নিজস্ব উদ্যোগেই করবে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, দেশে বর্তমানে ২৪ হাজার ৬৫০টি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। বিসিএসআইআর ২০১৬ সালের মধ্যে ১৫টি জেলায় ৫ হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে।

ঢাকায় নকশার ব্যত্যয় ঘটানো ৪৫০০ বাড়ি চিহ্নিত

নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, কিছু হাউজিং কোম্পানি ঢাকা শহরের চারপাশের নিচু জমি বৈধ ও অবৈধভাবে ভরাটের মাধ্যমে ঢাকা শহরের পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে জলাধার সংরক্ষণ আইন ও রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহমুদ উস সামাদের প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মিত ৪ হাজার ৫০০টি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি বাড়ির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। অনুমোদন বিহীন ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়সহ মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

আবদুল মুনিম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদের জন্য ঢাকা শহরে প্লট বা ফ্ল্যাটের বরাদ্দের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। ভবিষ্যতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।

Share