প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে লক্ষীপুরে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর বাজার গরুর মাংস বিক্রির অন্যতম বৃহৎ বাজার। এই বাজারে দুটি মাংসের দোকান রয়েছে। তবে প্রতিদিন এখানে গরু জাবাই করা হয় গড়ে ৫ থেকে ৬টি। এই বাজার থেকে মাংস কিনতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন ক্রেতারা। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন থেকে অন্যান্য পণ্যের সাথে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়। প্রশাসনের নেই নির্দেশনা মেনে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজারে ৬৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও লক্ষীপুর বাজারের চিত্র তার উল্টো। সেখানে প্রকাশ্যেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে চলেছে বিক্রেতারা। তাদের দাবী তাদের জন্য প্রশাসনের নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়। কারণ তারা শহরের বাইরে।

অথচ তাদের কাছে শহর থেকেই অধিকাংশ ক্রেতারা যান মাংশ কেনার জন্য। এ ব্যাপারে গোস্ত বিক্রেতা খলিল খান ও টেলু খানের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমরা প্রশাসনের কোন নির্দেশনা পাইনি। আমরা আমাদের মতো করেই বিক্রি করছি।

এদিকে লক্ষীপুর বাজারে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করায় নদী সীকস্তি এলাকার অসহায় মানুষেরা রমজান মাসেও গরুর মাংস খেতে পারছে না। এতে এলাকাবাসীর দাবী চাঁদপুরের প্রশাসন যেন এখানে এসে তা দেখে যান।
অপরদিকে গরুর মাংস কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপ করলে উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতা সাংবাদিকদের জানান, আমরা এখানে মাংস কিনতে আসি একটু কম দাম হবে বলে কিন্তু এখন দেখছি উল্টোচিত্র এখানের। এখানে শহর থেকেও বেশি দামে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মাংস বিক্রেতাদের কেউ কিছু বলতে পারেন না।

জানা যায় তাদের মাংশের মধ্যে শহরের মতোই হাড্ডি ও চর্বি থাকে। কোন অংশেই শহর থেকে অধিক মানসম্মত নয় তবুও কেন অধিক মূল্যে বিক্রি করছে তা বুঝে আসছে না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর শহরের বিপনী বাগ বাজারেও প্রশাসনের নির্ধারিত দরের অতিরিক্ত ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৭০০ টাকায় বিক্রি করছে প্রতি কেজি গরুর মাংস।

অপরদিকে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকাগুলো হচ্ছে সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ি (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর চর, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে বলে জানা যায়।

তাই সাধারণ মানুষের দাবী রাজধানী ঢাকা শহরে যদি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারে তাহলে উপজেলা শহর এবং গ্রামে কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রামেতো আরো কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারে বিক্রেতারা।

স্টাফ রিপোর্টার, ১২ মার্চ ২০২৫

Share