বিগত ২৮ মে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে দ্বিতীয় বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. রফিকুল ইসলাম লালু।
গত ১৩ জুলাই শপথ গ্রহণের পর থেকে তিনি ওই ইউনিয়নের সকল মানুষের সুখ- দুখ ও অন্যান্য বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে প্রতিদিন অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে সমাধান করে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে জমি-জমা, পারিবারিক বিরোধ ও অন্যান্য ছোট খাটো বিষয় গুলো স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্থদের মিমাংসা করছেন। তেমনী র্দীঘ ১শ বছর যাবৎ অনুষ্ঠিত এক দুর্গাপুজার ঘটনা তিনি সমাধান করেন।
এ নিয়ে গতকাল মনপুরা গ্রামস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তেগুরিয়া ঘোষাই বাড়ী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের নেতৃবৃন্দকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সমাধান করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
জানাগেছে, কাদলা ইউনিয়নের তেগুরিয়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রায় শত বছর যাবৎ দূর্গা ও অন্যান্য পূজা শান্তিপূর্ণভাবে করে আসছেন। চলতি বছর ওই মন্দিরের কমিটি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে এক পর্যায়ে আসন্ন দূর্গাপূজা করবে না বলে গুঞ্জন উঠে।
এ সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু তাদের ডেকে এনে দূর্গাপূজা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ ও সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এ উৎসব পালনে সার্বিক সহযোগিতা করায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালুকে তারা কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিকাশ সাহা, যুগ্ম সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার, যুব বিষয়ক সম্পাদক ডা. মানিক মজুমদার সোহাগ, সদস্য বিনয় সরকার, তেগুরিয়া ঘোষাই বাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ডা. তারনি তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ ডা. নিরঞ্জন তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।