হাজীগঞ্জ

প্রযুক্তির ব্যবহারে হাজীগঞ্জে বাপ্পী হত্যার তদন্ত চলছে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ সেলিম মিয়ার বড় ছেলে মো. আবু বকর বাপ্পী (৩২) হত্যার রহস্য উদঘাটনে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে চলছে তদন্তকাজ। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়াও লাশের চূড়ান্ত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্যে অপেক্ষা করছে মামলাটি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের যেকোনো একটিতে বাপ্পী হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে ভিন্ন কিছুও বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। এদিকে মামলাটি নিয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল আচরণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী তথা বাপ্পির বাবা আলহাজ সেলিম মিয়া।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ সেলিম মিয়ার বড় ছেলে বাপ্পীর লাশ পাশের রান্ধুনীমুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ২ দিন আগে থেকে বাপ্পী নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পর থেকে লাশ উদ্ধারের পূর্বের দিন পর্যন্ত বাপ্পীর ব্যবহৃত মুঠোফোনের লোকেশন হাজীগঞ্জ বাজার দেখিয়েছে বলে সে সময়ে পুলিশ জানিয়েছে। লাশ উদ্ধারের ১ দিন পর আলহাজ সেলিম মিয়া অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে বাপ্পির লাশ উদ্ধারের ১৯ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে কুল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাপ্পি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১ দিন পর শনিবার বাপ্পীর বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ ডায়েরির ২ দিন পর নিজ বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় ৩টি জুতা ও একটি টি-শার্ট আলামত হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ১ দিন পর অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অধ্যাবধি এ মামলায় পুলিশ কোনো রহস্য উদ্ধার কিংবা কাউকে আটক করতে পারেনি।

এদিকে ছেলে হত্যা মামালার তদন্তের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাবা সেলিম মিয়া মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা বাসায় এসে খোঁজখবর নিচ্ছে। তারা এ বিষয়ে খুব আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ জানান, আমরা তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও চূড়ান্ত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বিষয়টি পরিস্কার হবে
বার্তাকক্ষ, ১৪ মার্চ,২০২১;

Share