আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তৃষ্ণা রানী (১৫)। কারণ সে অভিমান করে পাড়ি জমিয়েছে পরপারে। আর অভিমানের কারণ প্রবেশপত্রে বাণিজ্য বিভাগের জায়গায় ভুল করে মানবিক বিভাগ আসা।
রোববার দুপুরে সে নিজের শোয়ার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তৃষ্ণা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের দুলাল রায়ের মেয়ে। তার মাহিগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
তৃষ্ণা রানীর চাচি অলিনদিতা রানী জানান, এসএসসি পরীক্ষায় তৃষ্ণার বাণিজ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। তবে প্রবেশপত্রে বাণিজ্য বিভাগের জায়গায় মানবিক বিভাগ আসায় সে স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে এসে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
মাহিগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ তারিখ বিকেলে প্রবেশপত্র বিদ্যালয়ে আসে। সকল পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিয়ে গেলেও তৃষ্ণা রানী প্রবেশপত্র নিতে আসেনি।
রোববার বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সে অনুষ্ঠান শেষে প্রবেশপত্র গ্রহণ করে জানায় তার বিভাগ ভুল এসেছে। আমি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি তুমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করো আমরা বিভাগ পরিবর্তনের চেষ্টা করব। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পরই সে আত্মহত্যা করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম জানান, পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে স্কুলে কিভাবে বিদায় অনুষ্ঠান হয়? আর প্রবেশপত্রটি আগে দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটতো না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তা কক্ষ,৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০