চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সাবেক চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান (৮২)আর বেচে নেই (ইন্না…….রাজেউন)। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে তার মরদেহ আনা হলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ মরদেহ শেষবারের দেখার জন্য ছুটে আসেন। এসময় ক্লাবের আয়োজনের শোকসভা,স্বারণসভা, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর বাদ যোহরের পর চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ক্লাবের আয়োজনের স্বারণসভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সভাটি পরিচালনা করেন দৈনিক শপথের সম্পাদক কাদের পলাশ।
এসময় বক্তব্য রাখেন,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক শহীদ পাটোয়ারী, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী,গিয়াসউদ্দিন মিলন,এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, জিএম শাহিন, মির্জা জাকির, রিয়াদ ফেরদৌস, আল ইমরান শোভন,প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের ছোট ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ফেরদৌস খান শাওন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ ও বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক এএইচএম আহসান উল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন শান্ত বলেন, আমরা প্রেসক্লাবের অনেক গুণী সাংবাদিকদের হারিয়েছি। এখন মাত্র দুইজন প্রতিষ্ঠাতা সদদ্যের আজ একজন চলে গেলেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান সকলকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন তাকে ক্ষমা করে দেবেন। সকল দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করতে পারি আল্লাহ পাক উনাকে বেহেস্ত নসিব করবেন। আমি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই।
নিজস্ব প্রতিনিধি, ২৭ নভেম্বর ২০২৪