কুমিল্লায় প্রবাসী স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে তানিয়া(২২)নামে এক প্যাথলজি কর্মচারী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার(২৩ জানুয়ারি) নগরীর ছোটরা এলাকায় হক মঞ্জিলে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
তানিয়া বাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার কুটি এলাকার বাসিন্দা। তানিয়া এবং তার মা মরিয়ম আক্তার ছোটরা হক মঞ্জিলে ভারাটিয়া থাকেন। আর সে নগরীর পুলিশ লাইনের এলাকায় একটি হাসপাতালের প্যাথলজিতে কর্মচারী হিসেবে চাকুরি করতেন। মা মরিয়ম একজন গৃহপরিচালিকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী আজহারুল ইসলাম একজন সৌদি প্রবাসী। আত্মহত্যার পূর্বে তার স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষন পরে তানিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
তানিয়ার মা মরিয়ম বলেন, ‘মোবাইলের পরিচয়ে ৮ বছর আগে তানিয়ার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তানিয়া ও তার স্বামীর মধ্যে সব সময় কথা বিরোধ লেগে থাকতো। মেয়ের মা আরও বলেন, তিনি কাজে বের হওয়ার পর তানিয়ার স্বামী প্রবাস থেকে আমার কাছে মোবাইল করে বলেন আপনি তাড়াতাড়ি বাসায় যান তানিয়া কি যেন করেছে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ বলেন, এখনো কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের সহায়তায় বাহির থেকে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এস.আই শাহাবুর পরিদর্শন করে বলেন, মৃত্যুর এখনও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল
২৩ জানুয়ারি,২০১৯