চাঁদপুরে প্রবাসী স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও প্রতারক ভাড়াটিয়া

চাঁদপুর শহরে ভুয়া ভাড়াটিয়া সেজে প্রতারক স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি মালিকের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র।
১৫ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের নিউ ট্রাক রোড খান সড়ক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

প্রতারণার শিকার ঐ এলাকার হাসান ভিলার প্রবাসী মালিক ইউনুছ আলী বেপারীর স্ত্রী জামশেদা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ৪৫ বছরের জনৈক ব্যক্তি রোববার ১৪ নভেম্বর দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে আমার ৪ তলার ১টি ইউনিট ৬ হাজার টাকা বাসা ভাড়া নিবে বলে ১ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দেন। কাল পরশু মধ্যে তিনি বাসায় উঠবেন বলেই চলে যান।

পরের দিন সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উনার স্ত্রীকে নিয়ে পুনরায় তিনি বাসায় আসেন। এ সময় ২ টি প্লাস্টিকের মোড়া, ১টি বালতি সাথে করে নিয়ে আসেন। ছোট কয়েক প্রজাতির মাছ আর ১টা পেপে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন ভাবী মাছগুলো কাটেন, আজকে আপনাদের বাসায় খাব। আর পেপেটা কাল কাটবেন এ কথা বলে তিনি তার ৪ তলা বাসায় চলে যান।

কিছুক্ষণ পরেই উনার স্ত্রী আমার বাসায় এসে জোর করে আমাকে নিয়ে যান ভাড়ার অগ্রিম পুরো টাকা দিবে বলে তাদের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে ২ টি মোড়ার ১ টিতে আমাকে বসান। আমার সামনেই বালতিতে তারা হাতের বালা বা চুড়ি ১ টা ব্রাশ দিয়ে ঘষেন। এই গহনাগুলো আজ বিক্রি করবেন তাই পরিষ্কার করছেন। এ সময় মহিলা আমার হাতে কাদা মাটির মতো কিছু দিয়ে বলেন আপনার গহনাগুলি দেন। একদম নতুনের মতো করে দিচ্ছি বলে হাতে কানের গলা থেকে জিনিস খুলে নেন।

জিনিসগুলি কাদা মাটির মতো গোলায় ঢুকিয়ে আমাকে বলেন, এগুলো ২০ মিনিট পর খুলবেন। বাসায় নিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। এরই মধ্যে যা হবার তা হয়ে গেছে। প্রতারক চক্র নকল চুড়ি দিয়ে আসল সোনা নিয়ে পালিয়ে যায়। রেখে গেছে ২ টি মোড়া ১ টি বালতি এবং ১ টি রেক্সিন। ভাড়া বাসাটি পুরো ফাঁকা। দুপুরে আর কি খাবে বাকি মাল নিয়ে আসার কথা কিন্তু যে মোবাইল নাম্বারে কথা হয়েছিল সেটিও এখন বন্ধ। যাহার নাম্বার ০১৮৭৭৬৫০৯৩০। আমার ২ মেয়ে এ সময় স্কুলে ছিল। প্রতারক চক্র আমার ৩ ভরি স্বর্ণ বাজার মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ নিয়ে গেল।

স্থানীয়রা জানান, দিনে দুপুরে মহল্লা বাসা বাড়িতে এ ধরনের ঘটনা একের পর একটা ঘটায় আতংকিত মহল্লাবাসি। প্রতারক চক্র মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সর্বশান্ত করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আরো সজাগ হলে একটা চক্রকে ধরতে পারলে পুরো নেটওয়ার্কটাকে ধরা যাবে।

এদিকে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৬ নভেম্বর ২০১২

Share