চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে করোনার মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা সহস্রাধিক প্রবাসী বর্তমানে বেকার অবস্থায় পড়ে আছে। গত মার্চ,এপ্রিল ও মে মাসে ইতালী, সৌদিআরব, কুয়েত, দুবাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় এক হাজারের উপরে প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স সৃত্রে উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে উক্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
জানা যায়, বিদেশ ফেরত সহস্রাধিক প্রবাসীর মধ্যে উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নে প্রায় ৬০ জন, ২নং বাকিলা ইউনিয়নে ১০০ প্রায় জন, ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে প্রায় ৮০ জন, ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১০০ প্রায় জন, ৫নং সদর ইউনিয়নে শতের কাছাকাছি, ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নে শতাধিকের উপরে, ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নে প্রায় ১২০ জন, ৮নং হাটিলা ইউনিয়নে প্রায় অধ্যশত, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে প্রায় ৭৫ জন, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে প্রায় ৮০ জন, ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে প্রায় অধ্যশত ও ১২নং দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নে প্রায় ৪০ জন। তবে সব চেয়ে বেশী প্রবাসী দেশে এসে অবস্থান নিয়েছেন হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়।
প্রবাসী আসার খবরে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে প্রথম প্রথম আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। বর্তমানে এসব প্রবাসীরা চরম দূচিন্তায় দিন পার করছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি কবে দূর হবে, আর তারা কি পূনরায় বিদেশ যেতে পারবে কি পারবে না তা নিয়েও চিন্তা চেতনায় দিন পার করছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, মধ্যবর্তী রাস্ট্র থেকে যেসব প্রবাসী দেশে এসেছেন, তারা অনেকটা খালি হাতে এসেছেন। তাদের পরিবার পরিজন এখন না খেয়ে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। দেশের এ সংকট মুহুর্তে এসব প্রবাসীরা জীবন জীবিকা চালানোর মত তেমন কোন কাজ খুজে পাচ্ছে না।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদেশ ফেরত আকবর, ইউসুফ, মজিব, সাইফুলসহ প্রায় ১৫/২০ জন প্রবাসীর সাথে কথা বললে জানান, আমাদের হাতে কোন টাকা নেই, দেশে যে কাজ করে খাব তাও কাজের ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দূর্ভোগে আছি। সরকারি ভাবে কোন ত্রানও পাইনি। আর মনেহয় বিদেশ যেতে পারবো না। এখন আল্লাহ ছাড়া কোন কূল কিনারা নাই।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,২০ জুলাই ২০২০