প্রবাসী পত্নী ভাবীর সাথে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় মাকে খুন

দীর্ঘ দিন ধরে বড় ভাবীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল কামাল হোসেন। পরকীয়া প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ান তার মা। আর এতে গর্ভধারিনীকে ছয়মুন বিবিকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের জামাতা ছাইম উদ্দিন বাদী হয়ে কামাল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন।

জানা গেছে, কামাল হোসেন ও তার বড় ভাই দুইজনই কুয়েত প্রবাসী। বড় ভাইয়ের বিয়ের পর ভাবীর সাথে কামাল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। চুপি চুপি দেবর-ভাবীর মধ্যে চলে মন দেয়া-নেয়া।

বিষয়টি বুঝতে পেরে বড় ভাই দেশে ফিরে কামালকে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতে, কামালের স্ত্রী পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাপের বাড়ি চলে যান। এ খবর কামালের কাছে গেলে তিনি দ্রুত কুয়েত থেকে দেশে ফিরে আসেন।

পরিবারে বাবা নেই, বৃদ্ধ মা। ছোট্ট পরিবারটি তখন কামালই দেখাশুনা করতেন। পুরো বাড়ি ফাঁকা। পরকীয়ার বিষয়টি তার মার কাছে ধরা পড়ে। মা বড় ছেলের সংসারের কথা চিন্তার করে বিষয়টি গোপন রাখেন।

ছোট ছেলে কামালকে বুঝান। এরপরও তাকে সংযত করতে পারেননি। উপায় না পেয়ে তিনি বড় বউকে বাপের বাড়ি জকিগঞ্জে পাঠিয়ে দেন। এতে মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয় কামাল।

ভাবী যাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কামাল জকিগঞ্জ চলে যায়। সেখানে চলে দেবর-ভাবীর পরকীয়া। প্রায় সপ্তাহখানেক বাড়ি না ফেরায় ছেলেকে খুঁজতে মা বড় ছেলের শ্বশুরবাড়ি জকিগঞ্জে যায়। এতে বড় ছেলের বউ ও ছোট ছেলে কামাল চরম লজ্জা পায়। এতে ক্ষোভে মাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় কামাল।

স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, গত বুধবার বিকালে কামাল বাড়ি ফিরে মা ছয়মুন বিবিকে (৫৫) ঘরে উঠানে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে মাকে খুন করে বসত ঘরের চিলেকোঠায় লুকিয়ে থাকে কামাল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কামাল হোসেন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।

ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী জানান, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর ছোট ভাই কামাল ভাবীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পেরে বড় ভাই দেশে ফিরে কামালকে বিয়ে দেন। কিন্তু এরপরও বে-পথ থেকে ফিরেননি তিনি। সে মাত্র ১৫ দিন আগে কুয়েত থেকে দেশে আসে।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানান, ভাবীর সাথে কামালের পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি তার বউ বুঝতে পারায় স্বামীর উপর অভিমান করে বাপের বাড়ি যায়। এখনো তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়নি। হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। এই খুনের ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি-না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০৩ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার
ডিএইচ

Share