নাটোরের গুরুদাসপুরে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ সাত বছরের ছেলে সন্তান নিয়ে পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী বাদী হয়ে ওই রাতেই গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্ত্রীকে খুঁজে দিলেই লাখ পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান প্রবাসী মো. আবুল বাশার।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে প্রবাসী মো. আবুল বাশারের (৩২) সঙ্গে ২০১৩ সালে পার্শ্ববর্তী তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের মেয়ে সম্পা খাতুনের (২৫)বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পরে স্ত্রীকে রেখে সৌদি আরবে যান আবুল বাশার। বিয়ের এক বছর পরে তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি থেকে তিনি বাসায় আসেন। বাসায় আসার কয়েকদিনের মধ্যেই আবুল বাশারের মা অসুস্থ হলে তিনি তার মাকে নিয়ে গুরুদাসপুর হাসপাতালে গেলে তাদের অগোচরে বাড়িতে থাকা ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ তার সাত বছরের সন্তান বাধন পারভেজকে নিয়ে তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে। তবে কিভাবে কার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে তা এখন পর্যন্ত সন্ধান জানা যায়নি।
আবুল বাশার জানান, সৌদি থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী সম্পা খাতুনকে তিনি দুই বার ওমরা হজ্ব করিয়েছেন। মাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তিনি। তাদের অগোচরে তার স্ত্রী বাড়িতে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণ অলংকারসহ তার সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে সঙ্গে সঙ্গেই তার স্ত্রীর পরিবার-পরিজনদেরকে তার উধাও হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি তার পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ও সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
বার্তা কক্ষ,১ মার্চ ২০২১