Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে কারাগারে ছাত্রনেতা
প্রবাসীর স্ত্রী

হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে কারাগারে ছাত্রনেতা

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়নের ঘটনায় জেল হাজতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শাহেদ হোসেন।

শাহেদ হোসেন উপজেলা ১০নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের দেশগাঁও সমির উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে। সে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

২৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের মেনাপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল বাসারের স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট মারে শাহেদ। এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে স্বর্ণালঙ্কার এবং টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।

২৭ ফেব্রুয়ারী বৃস্পতিবার কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তারে হাতে। শাহেদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার হাতে নাতে ধরে শাহেদ ও প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে আটক করে। শাহেদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তারকে নিয়ে পরদিন হাজীগঞ্জ থানায় হাজির হয় ফাতেমা আক্তার।

ফাতেমার কর্মকান্ডে বিব্রত হয়ে শাহেদ তাকে মোবাইলে হুমকি ধমকি দেয়। এ বিষয় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে অভিনব কৌশলে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে শাহেদকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী জুমা আক্তার বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা
নং-৩৭,তারিখ-২৯/২/২০২০ইং।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মেনাপুর গ্রামের মসজিদে ইমামতি করার সুবাদে পরিচয় হয়। জুমা আক্তারের সাথে। প্রায় ৫ বছর পূর্বের পরিচয়ে সূত্র ধরে জুমা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে যায় শাহেদ। তার সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা নিয়ে যায়।

প্রায় ৮ বছর পূর্বে ফাতেমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে ফাতেমা আক্তার কুমিল্লা ইপিজেটে চাকরি করে। মাস শেষে টাকা তুলে দেয় শাহেদের হাতে। তবুও শাহেদের মন জয় করতে পারেনি।

ফাতেমা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামীর চারিত্রিক বিষয় লক্ষ করি। সে একাধিক নারীর প্রেমে মগ্ন হয়েছে। কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে আমার সামনে পড়ে। এ সময় আমি হাতে নাতে ধরে ফেলি। আমার স্বামী আমার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি একটি জিডি করেছি।

শাহেদ বলেন, জুমা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার প্রথম স্ত্রী আমার অবাধ্য হয়ে চাকরি করে। আমি জুমাকে বিয়ে করেছি। সে গর্ভবতী। তাকে ডাক্তার দেখাতে গেলে বাসস্ট্যান্ডে প্রথম স্ত্রী অনেক খারাপ আচরণ করে। সে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার সম্মান হানির জন্য এসব করা হচ্ছে।

স্টাফ করেসপন্ডেট