চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মামা পরিচয়ে কাতার প্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগের বাসায় যাতায়ার করতো একই এলাকার সাইফুল ইসলাম নিশান। এরপর সময় সুযোগ বুঝে দুই সন্তানের জননী ভাগনী জায়েদা আক্তার নিশিকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে কথিত মামা সাইফুল ইসলাম নিশান। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নদোনা গ্রামের আমির বাড়িতে।
জানা যায়, কাতার প্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগ ৯ বছর পূর্বে একই বাড়ির চাচাতো বোন মোসা: জায়েদা আক্তার নিশিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। এরপর নিশি ২ সন্তান জন্ম দেয়। সব ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল তাদের সংসারে। নিশি সন্তানদের পড়ালেখার অযুহাত দেখিয়ে চাঁদপুরে বাসা ভাড়া নেয়। এরপর থেকে তার দুর সর্ম্পকের মামা পরিচয় দিয়ে বাসায় যাতায়াত করতো সাইফুল ইসলাম নিশান। সকলের অগোচরে তাদের মাঝে তৈরী হয় ভয়ানক ব্যাধি পরকীয়া। পরকীয়ার জেরে জায়েদা আক্তার নিশি তার স্বামী নুরুল ইসলাম সোহাগকে তালাক না দিয়ে সাইফুল ইসলাম নিশানের সাথে কোট ম্যারেজ করে সংসার করতে থাকে।
এ ঘটনার জানাজানি হলে, নিশি সোহাগের দুই সন্তান ও নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা এবং প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সোহাগের বাবা মফিজুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম সোহাগের বাবা মফিজুল ইসলাম জানান, তার পুত্রবধূ জায়েদা আক্তার নিশি (২৮) দীর্ঘদিন ধরে পাশের কাঁশারা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম নিশান (৩৫)-এর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ৯ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক নিশি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আমার ছেলে প্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত ১২ মে ২০২৫ তারিখে কাতারে অবস্থানরত আমার ছেলে নজরুল ইসলাম সোহাগকে হোয়াটসঅ্যাপে সাইফুলল ইসলাম নিশান জানান, তিনি নিশিকে বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। এ সময় নিশান তাদের বিয়ের কাবিননামা ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি সোহাগকে পাঠায়।
এ খবর পাওয়ার পর নজরুল ইসলাম সোহাগের বাবা মো. মফিজুল ইসলাম দ্রুত নিশির চাঁদপুরস্থ ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে জানা যায়, নিশি ঘর থেকে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা এবং প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, অভিযুক্ত নিশান কৌশলে সৌদি আরবে পালিয়ে গেছেন এবং নিশিও গা ঢাকা দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে এ প্রতিবেদক নিশানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৮ মে ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur