চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওসমান গনি মুন্সি (৩০) নামের এক প্রবাসীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের দেবপুর চরবাকিলা গ্রামের সুকুমার চন্দ্রের চাষকৃত ভুট্টা ক্ষেত থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওসমান গনি রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী মুন্সির ছেলে। তিনি পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পাঁচ নম্বর। ওসমান গনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ও কাঁচা মালের ব্যবসা করতেন।
কৃষক সুকুমার চন্দ্র চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি ভুট্টা ক্ষেতের পাশেই ঢেড়শ গাছ লাগিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ঢেড়শ আনতে গিয়ে একটি দুর্গন্ধ পেলে আমার ভাতিজাকে ডেকে এনে সেসহ ভুট্টা ক্ষেতে প্রবেশ করে দেখি এই অবস্থা।
নিহতের বড় ভাই শাহজালাল মুন্সি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ওসমান গনি একজন মালেশিয়া প্রবাসী। গত বছর করোনার আগে ছুটিতে দেশে আসলে বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। এরপর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমারডুগী পাটওয়ারী বাড়িতে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহতের স্ত্রী সালমা চাঁদপুর টাইমসকে জানান,আমার স্বামী প্রতিদিনের ন্যায় কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১২ এপ্রিল ওসমান গনি (৩০) উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে দেবপুর বেপারী বাড়ি খালার বাড়িতে আসলে সেখান থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ, সিআইডি ইন্সপেক্টর আবু জাহিদ সরকার, পিবিআই ইন্সপেক্টর কবির হোসেন, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন লিটু।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন কি না পিবিআই ও সিআইডি যে আলামত সংগ্রহ করেছে তা বিশ্লেষণ করে বুঝা যাবে।’
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৭ এপ্রিল ২০২১