স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রবাসীদের সেবা দিতে সরকার এবং মিশনের কর্মকর্তারা সবসময় আন্তরিক। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশাপাশি দেশটির প্রত্যেকটি প্রদেশে দেয়া হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা। শুধু তাই নয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রবাসীরা সেবা নিতে এসে যাতে ভোগান্তির শিকার না হন দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য আরোও ২৪ জন কর্মকর্তা দেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেবার মান বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া হাইকমিশনে চালু করা হয়েছে তথ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে সার্বক্ষণিক দুইজন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পাসপোর্ট তৈরির জন্য বিনামূল্যে ফরম বিতরণ, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে উত্তোলনসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় যারা এসেছেন তাদের কিছু মেধার অভাব আছে। এই অভাব থাকার কারনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। যারা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন তারাই পাসপোর্ট পাবেন এবং যারা তথ্য গোপন রাখবেন তাদের পাসপোর্ট কখনই পাবেননা। কারন এখন আর হাতের লেখা পাসপোর্ট নয় । সম্পূর্ণ ডিজিটাল পাসপোর্ট । তথ্য গোপন করলেই পাসপোর্ট পেতে সমস্যা হবে। এর আগে হাইকমিশন ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্ম তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর জেনারেল মো: মাসুদ রেজওয়ান পি এফসি, ডেপুটি হাইকমিশনার, ডিফেন্স উইং মো. হুমায়ুন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিষ্টার রইছ হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব মাসুদ হোসাইন, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব শ্রম মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো: মশিউর রহমান তালুকদার, প্রথম সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, পাসপোর্ট বিভাগের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মেজর আবেদ, দূতাবাসের ২ য় ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১টি। পাসপোর্টের আবেদন বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া গত বছর ৪ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট সেবা দেওয়া হয়েছে।
এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাসপোর্ট ডেলিভারি ও প্রায় ২ হাজার নতুন পাসপোর্ট তৈরির আবেদন গ্রহণ বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার লোকের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবেদক- বশির আহমেদ ফারুক