সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে বিসিএস উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশকৃত নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আর এটি না করলে ডাক্তার কিংবা পুলিশের মতো নিয়োগ ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার ১০ম জাতীয় সংসদ নবম অধিবেশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে নিড বেইজ সার্ভের মাধ্যমে প্রয়োজনিয়তার নিরিখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ষষ্ঠ থকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু, প্রাথমিক ও প্রাকপ্রাথমিকের বই ১ জানুয়ারির মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছানো এবং বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১ হাজার ৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সবশিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি ভবিষ্যতে এনসিটিবির মাধ্যমে যেসব বই ছাপা হবে সেসব বইয়ের মুখবন্ধে সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের উদ্যোগের প্রতিফলন সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে নৈশ্য প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগে হাইকোর্টে যে রিট তা নিষ্পত্তি করে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ. খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো. আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম বাবু, আবুল কালাম, আলী আজম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজল অংশ নেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ, এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১১:১২ অপরাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বুধবার
এমআরআর