হাজীগঞ্জ বোরখাল উবি’র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বোরখাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতিক উল্ল্যাহ’র বিরুদ্ধে মনগড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ (এডহক) কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি এডহক কমিটিতে যাকে শিক্ষক প্রতিনিধি (টিআর) হিসেবে রাখা হয়েছে আদৌ ওই নামের কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে নেই বলে জানিয়েছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান বিএনপি নেতাকে অভিভাবক সদস্য পদে অনুমোদিত কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন।

যা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনীত নাম উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক অন্য নাম দিয়ে জালিয়াতি করেন। প্রধান শিক্ষক এ কে এম আতিক উল্ল্যাহর একটি মনগড়া এডহক কমিটি গঠনের বিষয়ে জানেন না এই দুই কর্মকর্তা। তারা এখন বলছেন খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

জানা যায়, পূর্বের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পূর্বে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ। আর তিনি মৃত্যুর পূর্বে এডহক কমিটির গঠনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাবোর্ড গত ৭ জুন এডহক কমিটি গঠনের জন্য বিদ্যালয় প্রধানকে নির্দশনা দেন।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতিক উল্ল্যাহ জেলা শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীর বরাবর শিক্ষক প্রতিনিধি সিলেক্ট করার জন্য নামের তালিকা পাঠান। এতে জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. কাদের মজুমদারের নাম টিআর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অনুমোদন দেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক আতিক উল্ল্যাহ আ. কাদের মজুমদারের নাম বাদ দিয়ে তাজুল ইসলাম নামীয় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে এডহক কমিটির নামের তালিকা অর্ন্তভুক্ত করেন। বিদ্যালয়ে তাজুল ইসলাম নামীয় আদৌ কোন শিক্ষক নেই বলে দাবি করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার অভিভাবক সদস্য হিসেবে আনিসুর রহমান পলাশ নামে ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে অনুমোদন দেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনীত ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে তিনি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে কমিটির তালিকা রেখে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে তার স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ৩০ জুন প্রেরণ করেছেন।

বিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের মনোনীত শিক্ষক প্রতিনিধি বলেন, তাজুল ইসলাম নামীয় শিক্ষক আদৌ আমাদের প্রতিষ্ঠানে নেই। তিনি কি ভাবে ভুয়া নাম ও একজন চিহ্নিত বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে এডহক কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন। এটি আসলে আমাদের বোধগম্য নয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আতিক উল্ল্যাহর মোবাইল ফোন এবং তার বাড়িতে গিয়েও তাকে না পাওয়া তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, আমি যার নাম দিয়েছি তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে না অন্য ব্যক্তিকে এডহক কমিটিতে রেখেছেন এটা ক্লিয়ার হওয়া যাবে যখন বোর্ডের অনুমোদিত কপি আমি হাতে পাব। তখন এমনটি দেখলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share