চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :
পটুয়াখালীর কমলাপুর ইউনিয়নের ৫৮নং ক্রোকমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চার মাস আগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় সে এখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ওরফে আনোয়ার মৃধা বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। স্কুল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ হবে এটি ষড়যন্ত্র।
এদিকে, বুধবার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক আনোয়ার কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি কেউ জানতো না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মঙ্গলবার পটুয়াখালী শহরে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে স্কুলের সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মৃধা ও ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক পটুয়াখালী থেকে আনোয়ারকে ধরে নিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
বুধবার সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও রিপন কুমার ঘটনার সত্যতা জানতে ওই বিদ্যালয়ে গেলে সবাই প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা জানান, সবাই যেহেতু বলছে। ঘটনা না ঘটলে এমনটি হতো না। এখন মেডিকেল পরীক্ষা মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মৃধা জানান, সব সত্য। এখন বিচার হওয়া উচিত।
সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও রিপন কুমার জানান, তারা এসেছেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানতে। এখান থেকে তারা যা জানবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে তা জানানো হবে। তারা পরর্বতী ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক, নির্যাতিত ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
