Tuesday, 07 July, 2015 02:54:24 AM
নিউজ ডেস্ক:
মুসলমানদের কাছে রমজান হলো আত্মশুদ্ধি আর আত্মবিকাশের মাস। টানা এক মাস দিনের বেলা খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে মুসলমানরা পাপপূর্ণ আচরণ ও কথা থেকে বিরত থাকে, ইবাদত-বন্দেগিকে মনোযোগী হয়। এই অভ্যাস বাকি সময় অনুসরণ করবে, এমনটাই আশা করা হয়।
সাধারণভাবে মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণকারীদের কাছে এটা সহজাত বিষয়। এটা তাদের কাছে আল্লাহর একটা পরীক্ষা। অনেকেই এর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে না।
তবে অমুসলিমদের কাছে বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচিত হতে পারে। আবার অনেকের মনে রমজান মাসের পবিত্রতার ছোঁয়া দোলা দেয়। প্রথম রমজানের স্মৃতিই তাদেরকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
গালফ নিউজের সেই কাহিনীই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
তার বর্তমান নাম ইব্রাহিম। বয়স ৬১ বছর। ২০০৮ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এখন তিনি ৮ম বছরের মতো রমজান পালন করছেন।
তিনি বলেন, ‘রমজান হলো একটা প্রাকটিক্যাল স্কুল। এটা আমাদের ধৈর্য ধরতে শিক্ষা দেয়, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র আর ক্ষুধায় কষ্ট পাওয়া মানুষদের অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।’
তিনি এখন তার পরিবার সদস্যদের নিয়ে দুবাই থাকেন। তিনি জানান, রমজান মাসে অন্যদের দুর্দশা উপলব্ধিতে অনেক বেশি সহায়ক হয়। এ সময় কামনা-বাসনার রাশ টানার শিক্ষা পেয়ে থাকে।
তিনি ছিলেন খ্রিস্টান পাদ্রি। ২১ বছর তিনি ‘অ্যাসেম্লি অব গড চার্চের’ দায়িত্বে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনার সময় তার তিন মেয়ে একজন ইসলাম গ্রহণ করার পর এই ধর্মের প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে তিনি তার নিজের ধর্ম এবং জীবন নিয়ে যেসব ধাঁধায় পড়েছিলেন, সবগুলোর জবাব পেয়ে যান।
ইব্রাহিম তার প্রথম রমজানকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এই সময়ই তিনি তার চার্চের সদস্যদের সামনে ঘোষণা করেন, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোপনে আমি আমার প্রথম রোজায় তিনটি খেজুর আর পানি দিয়ে ইফতার করেছিলাম। তারপর নামাজ পড়েছিলাম। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যাতে তিনি আমার নতুন পথে যাত্রায় সর্বোত্তম পথটি তিনি নির্দেশ করেন।’
ইব্রাহিমের পরিবারের সব সদস্য তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে তার বন্ধুদের বেশির ভাগই বিষয়টা বুঝতে পারেননি। তারা তার ইসলাম গ্রহণের কথা শুনে তাকে এড়িয়ে যেতে থাকেন।
ইব্রাহিমের স্ত্রীও মুসলমান হন। কয়েক বছর পর তার ছোটমেয়েও বাবার ধর্ম গ্রহণ করেন। ইব্রাহিম এখন দুবাইতে থাকলেও ব্রাজিলে তার হোমটাউনে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি সেন্টার পরিচালনা করেন।
চাঁদপুর টাইমস : ডেস্ক/ডিএইচ/২০১৫।
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।